ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ১২ ২০২০, ১৮:৩৯

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি

আজ বৃহস্পতিবার (১২মার্চ) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা আট লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করেছেন।

ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা রুটে দেশের প্রথমবারের মতো এক্সপ্রেসওয়ে আজ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগে প্রবেশ করল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি আনুষ্ঠানিকভাবে এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন।

যাতায়াতের সময় কমানোর পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর লোকদের জন্য আরামদায়ক ও নিরবিচ্ছিন্ন যাতায়াত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়।

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলেন,আন্তর্জাতিক মানের এই এক্সপ্রেসওয়ে দুইটি সার্ভিস লেনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীকে যুক্ত করবে। স্থানীয় এক পরিবহন চালক বলেন, এটি একটি চমৎকার এক্সপ্রেসওয়ে, যা ভ্রমণের সময় সাশ্রয় করবে এবং এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন দ্রুত নির্বিঘ্নে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করবে।

তথ্যের বিবরণ অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯ টি আন্ডারপাস এবং প্রায় ১০০টি সেতু এবং কালভার্ট রয়েছে, যা দেশের দক্ষিন অন্ঙ্চলের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়িয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

এটি মাওয়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এবং ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পানছার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দুটি এক্সপ্রেসওয়ে পুরো খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের একটি অংশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাশাপাশি ঢাকা শহর এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করবে। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা, খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ছয় জেলাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ টি জেলার মানুষ সরাসরি এই আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবেন।

আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ের দুটি অংশ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে সংযুক্ত হবে, যা বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর চার কিলোমিটার গতকাল মঙ্গলবার ২৬তম স্প্যান বসানোর পরে ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে ট্র্যাফিকের জন্য ব্রিজটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান মন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।