বড়লেখার আহবাব চৌধুরী ১০০ ইয়াবাসহ আটক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ২৮ ২০২০, ১২:৪৩

এম.এম আতিকুর রহমান: মৌলভীবাজারের বড়লেখা ‌পৌর শহরের মহুবন্দ‌ গ্রামের মৃত সরোয়ারুল আলম চৌধুরীর পুত্র আহবাব চৌধুরীকে ঢাকায় ১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করেও পারেনি ভদ্র পরিবারের পরিচিত আহবাব চৌধুরী।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার মামলা নম্বর- ৯৫ তাং ২৩/০৭/২০০০। সে বড়লেখার মৃত সারোয়ার আলমের পুত্র আহারুল আলম হিসেবে তার নাম লিপিবদ্ধ করায় বলে জানা গেছে।

রবিবার যাত্রাবাড়ী থানা থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার আহারুল আলম ওরফে আহবাবুল আলম সম্পর্কে জানতে বড়লেখা থানায় অনুসন্ধানপত্র পাঠানো হলে মূল তথ্য বেরিয়ে আসে।

থানা পুলিশ সহ বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, অনেক দিন থেকে মাদকাসক্ত আহবাব চৌধুরী কখনো সাবেক সেনাপ্রধানের আত্মীয়, কখনো র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে আবার কখনো কথিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বড়লেখার জনপ্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কিংবা নির্বাচনী প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেইসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা লেখা প্রচার করে আসছিল। কারো কোনো অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন স্থানে লাইভ ভিডিও করে এবং ভিডিওর ভয় দেখিয়ে ট্রাক্টর চালক, অটো রিক্সা চালক এমনকি ফুটপাতে সবজি বিক্রি করতে বসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তার কাজ। প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করা ইত্যাদি পাপাচারই তার পেশায় পরিনত হয়ে যায়। ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতেন না। সম্প্রতি বড়লেখা থানায় ঐ আহবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৌর মেয়র আবুল ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলাও দায়ের করেন।

ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ী থানায় আহবাব গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চত করে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক আজকে জানান, ঢাকা থেকে ২৬ জুলাই তার সম্পর্কে জানতে অনুসন্ধানপত্র এসেছে। বড়লেখায় সে আহবাব চৌধুরী নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা আছে। এ মামলায়ও তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।

সচেতন মহল মনে করেন, ভালো পরিবারের কিছু ছেলেরাও ভদ্র ভেসে ইদানিং দুষ্কৃতকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। অভিভাবকদের কঠোর নজরদারি ও সচেতনতা বৃদ্ধিই তা প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।