ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্ট মুলতবির আবেদনে রাণীর সম্মতি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ২৯ ২০১৯, ২০:৫৮

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি রাখার আবেদন মঞ্জুর করেছেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই মুলতবি হবে পার্লামেন্ট।

তবে তা ৯ সেপ্টেম্বরের আগে করা যাবে না এবং ১২ সেপ্টেম্বরের পরেও করা যাবে না। পরবর্তীতে নতুন পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর সময় রানির উদ্বোধনী ভাষণটি হবে ১৪ অক্টোবরে।

বিবিসি জানায়, গ্রীষ্মকালীন বিরতির পর সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর কয়েকদিন পরই তা মুলতবি করে দিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কার্যালয় থেকে রানির কাছে আবেদন করা হয়েছিল। ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছিল, এর মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও সরকার যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) পরবর্তী সময় নিয়ে পরিকল্পনা করার সুযোগ পাবে।

যদিও সমালোচকরা বলছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে সরকারকে আটকাতে বিরোধীরা যেন কোনো পরিকল্পনা সাজানোর সুযোগ না পায় সেই লক্ষ্যেই সরকার অধিবেশন মুলতবির পথে হাঁটছে।

আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। জনসন বলেন, অধিবেশন মুলতবির সময় শেষ হওয়ার পর আগামী ১৪ অক্টোবর নতুন অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন রানি পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। রানির ভাষণে ব্রেক্সিট নিয়ে তার ‘খুবই রোমাঞ্চকর পরিকল্পনা’ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রানির অনুমোদন আদায় করে জনসন তার পরিকল্পনায় সফল হয়েছেন। যদিও পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বেরকাউ এভাবে পার্লামেন্টর অধিবেশন মুলতবি রাখা ‘সংবিধান লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, “যদিও আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এটা করা হয়েছে। চোখবন্ধ করেই বলা যায়, ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টে এমপি’দের আলোচনা আটকাতেই অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে।”

যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্য অনুযায়ী, সাধারণত স্পিকার রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন না। কিন্তু ব্রেক্সিট নিয়ে জনসন সরকারের নতুন এ কৌশল তাকে মুখ খুলতে বাধ্য করেছে।

প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবি করা অগ্রহণযোগ্য, এটা উচিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যা করছেন তা তাণ্ডব ছাড়া আর কিছু না। তিনি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে জোর করে একটি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট করতে চাইছেন।”

প্রধানমন্ত্রী জনসনের এই কৌশলকে ভেস্তে দিতে তারাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন জানিয়ে করবিন বলেন, “আগামী মঙ্গলবার পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রধামন্ত্রীকে আটকাতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” “একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজনও করা হবে।