ব্রিটিশ নাগরিককে সিলেটে কমিশনারে’র নেতৃত্বে ম্যাজিস্টেটের অর্থদন্ড

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ০১ ২০২০, ০৬:১০

আইনজীবী ওয়াহিদ আলী:
গতকালকে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে যা দেখলে গাঁ শিউরে উঠে। এখানে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আইন যথাযত প্রয়োগ হয়েছে কিনা? একজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট যিনি ভালভাবে বাংলা বলতে পারেন নি তিনির ভূমিকা এবং স্হানীয় কমিশনারের ভূমিকা। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ডিসির অফিস থেকে পাঠানো হয়নি, স্হানীয় কমিশনার কয়েস লুডি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ে এসেছেন। এখানে আইনের প্রয়োগ প্রশ্নবিধ! বিভিন্ন কারনে কমিশনার রা নিজের ওয়ার্ডের বিভিন্ন জনের সাথে মনোমানিল্য থাকে ইলেকশনের ক্যামপেইন থেকে। শুনা যাচ্ছে ঐ বাসা গত সিটি কর্পোরেশনের ইলেকশনে তিনির প্রতিদন্ধী আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সাপোর্টার ছিল আর তিনি বিএনপির মনোনীত পার্থী হওয়ায় তাকে ঐ বাসার কেহ ভোট দেয়নি। তিনিকে যারা ভোট দেয়নি সন্দেহ করেন তাদেরকে তিনি সুযোগ বুঝে শায়েস্হা করতে চান।এর ধারাবাহিকতায় তিনি এ কান্ড ঘঠিয়েছেন। একজন ম্যাজিস্টেট যখন কাউকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে চার্য করে বিচার শুরূ করবেন তখন তিনি প্রথম তাহার আইডি (পাশপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড) দেখে পরিচয় নিশ্চিত হবেন। এই পয়েন্টে ম্যাজিস্টেট তিনির দায়িত্ব কি সঠিকভাবে পালন করেছেন? অভিযোক্ত ব্যক্তি যখন তিনির আই ডি দেখতে চাইল তখন তিনি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না, আইডিও দেখালেন না। পক্ষান্তরে একজনকে তিনি মাথা পাঠানোর আদেশ দিলেন।কমিশনার ও তার লোকজন তেরে আসলো মারতে যা অন্যরা থামায়। ম্যাজিস্টেটের সামনে মোবাইল কোর্ট চলা অবস্হায় কমিশনার এবং তার লোকজন ঐ রূপ বেআইনি আচরন করতে পারে কি না? ঐ প্রবাসী যখন বার বার বলতে থাকেন যে এয়ারপোর্টে তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়নি তখন ঐ ম্যাজিস্টেটের কি উচিৎ ছিল না এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন অফিসারের বক্তব্য নেয়া। এখানে আইনি বাধ্যবাধকতা প্রশ্নবিদ। যখন ম্যাজিস্টেট দোষী সাব্যস্হ করে জরিমানা করলেন তখন তিনি ঐ সাজায় অসুনতুস্ট হলে কি করার তিনির রাইট আছে তা বলা উচিত ছিল কি না বা আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে কি না প্রশ্নবিদ।ম্যাজিস্টেট প্রভাবিত হয়ে অনাধিকার চর্চা করেছেন কিনা প্রশ্নবিদ! মানহানী এবং মোবাইল কোর্ট যথাযত ভাবে এক্ট করেছে কি না তা চ্যালেন্জ করে হাই কোর্টে মামলা করলে ম্যাজিস্টেট এবং কমিশনার লুডি আত্বপক্ষ সমর্থনের কি যুক্তি আছে তা কি ভেবে দেখছেন। আমরা ইদানিংকালে দেখেছি বিভিন্ন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অনাধিকার চর্চার।১৫ হাজার টাকা জরিমানা বর কথা নয়। একজন ব্রিটিশ নাগরিক হেনাস্হা অর্ধকোটি ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রেসটিজ ইস্যু হয়ে দারিয়েছে।