ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই ১০ গ্রামের কারো শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি!
একুশে জার্নাল
মে ০১ ২০২০, ২০:১২

আবির আবরার: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আল্লামা হাফেজ যুবায়ের আহমদ আনসারির জানাযাকে কেন্দ্র করে লকডাউন করে দেওয়া ১০ গ্রামের কারো শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
একজন আলেমে দ্বীনের জানাযায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণ দেখে বামপাড়ায় হইচই শুরু হয়ে গিয়েছিলো। মিডিয়াসহ ইসলাম বিদ্বেষীরা এই জানাযা এবং আলেমদের নিয়ে একযোগে প্রতিবাদ আর নিন্দায় সোস্যাল মিডিয়া সয়লাব হয়ে গিয়েছিল। তারা বলেছিল- সর্বনাশ! এই জানাযা থেকে লাখো মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ে সারা দেশে ছড়াবে! ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাবে! কত কিছু যে লেখা ও বলা হয়েছিলো তার ইয়ত্তা নেই।
কত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়াসহ সোস্যাল মিডিয়ায় কত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আজব এবং উস্কানিমূলক শিরোনামে নিউজ আসলো, লেখালেখি হলো!
এমনকি জানাযায় অলেম ও ধর্মপ্রেমিক লাখো মানুষের অংশগ্রহণের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসপি সার্কেলসহ সরাইল থানার ওসিকে প্রত্যাহার পর্যন্ত করা হলো!
কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবরুদ্ধ করে রাখা ১০ গ্রামের কোনো মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি।
ডিবিসি নিউজসহ বিভিন্ন মিডিয়া সুত্রে জানা যায়-আল্লামা জুবায়ের আহমদ আনসারির জানাযায় অংশ নেওয়ার কারণে যে ১০ গ্রাম অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো, আজ ১৪ দিনের লকডাউন শেষ হয়েছে, কিন্তু ওই ১০ গ্রামের কারো শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি।
সুশিলসহ কিছু ডানপন্থী ও নাস্তিক এবং ইসলাম বিদ্বেষীদের সাথে তাল মিলিয়ে চিল্লাচিল্লি, গালাগালি করে ফেসবুককে বিষাক্ত করে তুলেছিলেন! কিন্তু গার্মেন্ট খোলা থাকার কারণে এসব এলাকায় করোনা রুগীর সংখ্যা শুধু বাড়ছে এটা নিয়ে এসব সুশীলদের কোনো বক্তব্য নেই। ঢাকার স্বামীবাগে ইসকন মন্দিরের ভেতরে ৩৬ জন করোনা রুগী শনাক্ত হয়েছেন। এসব নিয়ে ৭১ সহ কোনো মিডিয়ার তেমন মাতামাতি নেই। শুধু মসজিদে নিয়ন্ত্রণ করা এবং মুসল্লি বেশি হলেই ইমাম গ্রেফতার করাই যেনো হর্তাকর্তাদের কাজ!