ব্যাখ্যা দেওয়ার পরও মির্জা ফখরুলের বিরূপ মন্তব্যে হতবাক সবাই

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ১৩ ২০১৯, ১১:৩০

নারী শিক্ষা নিয়ে হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যের ব্যখ্যা দেওয়ার পরও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছন তরূণ আলেমসমাজ ও অনলাইন এক্টিভিস্টগণ।

আল্লামা আহমদ শফীর বক্তব্য খন্ডিত আকারে মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ায় পরদিনই তিনি লিখিত প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে তিনি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যায় করেছেন, ‘তিনি নারীশিক্ষার বিরোধিতা নয় বরং স্কুল কলেজে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত না করে মেয়েদের সেখানে পঠানোর ব্যাপারে সতর্ক করতে চেয়েছি’। আল্লামা আহমদ শফীর এই বিবৃতিও সকল মিডিয়ায় প্রকাশ হয়।

আল্লামা শফীর ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি প্রদানের পরও বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য উচিৎ হয়নি বলে অনলাইনে অফলাইনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

মির্জা ফখরুলইসলাম আলমগীর বলেন
‘মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পাঠানোর জন্য হেফাজতের আমিরের বক্তব্যে আমি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিব্রত করবে।’

আল্লামা শফী নারী শিক্ষা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

১১ জানুয়ারি হাটহাজারি মাদরাসার বার্ষিক সম্মেলনে নিরাপদ পরিবেশ ছাড়া মেয়েদেরকে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে প্রধান গণমাধ্যমগুলোতে ‘খণ্ডিত’ বক্তব্য প্রচার হওয়ায় একদিনের মধ্যেই আল্লামা আহমদ শফীর পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। গণমাধ্যমে পাঠানো সে ব্যাখ্যায় জানানো হয়,মাহফিলে দেয়া তার বক্তব্যের একটি খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইসলাম নারীর শিক্ষাকে উৎসাহিত করে। তিনিও নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে নন। নারীদের শিক্ষার পরিবেশ নিরাপদ করার উদ্দেশ্যেই তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন।

ওই ব্যাখ্যামূলক বিবৃতিতে হেফাজত আমির আরো বলেন, বক্তব্যে আমি মূলত বলতে চেয়েছি- ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দার লঙ্ঘন হয়, এমন প্রতিষ্ঠানে নারীদের পড়াশোনা করানো উচিত হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ যাবতীয় সব কিছুই রয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয় উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সবাই অবগত যে, উম্মুল মুমিনিন হজরত মা আয়েশা (রা.) ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস। তিনি শিক্ষাগ্রহণ না করলে উম্মত অনেক হাদিস থেকে মাহরুম হয়ে যেত।

মির্জা ফখরুলের সমালোচনামূলক এ বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হলো আল্লামা আহমদ শফীর পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেয়ার অনেক পরে।

আল্লামা আহমদ শফী যে বলতে চেয়েছেন, “স্কুল কলেজে মেয়েদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নয়” কেনো নিরাপদ পরিবেশ নেই সেটার মূল কাওরন নিয়েই বরং মির্জা ফখরুল ইসলামদের আলোচনা করা উচিৎ ছিলো বলেও মন্তব্য করেন অনেক অনলাইন এক্টিভিস্ট।