বেহাল দশায় সাতক্ষীরার আশাশুনির কপোতাক্ষ নদ সংলগ্ন হরিমর্দন স্লুইজ গেট

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ১৭ ২০২০, ১১:০৪

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: আশাশুনির উপজেলার আনুলিয়া-খাজরা ইউনিয়নের মাঝ বরাবর কপোতাক্ষ নদের হরি মর্দন স্লুইজ গেটের বেহাল দশায় এলাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেখার কেউ নেই। যে কোন মুহুর্তে গেট ভেঙ্গে দুই ইউনিয়নের দুই শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িসহ রাস্তাঘাট, মৎস্য ঘের প্লাবিত হতে পারে।

আনুলিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর মোহম্মাদ ও ছাত্রলীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম জানান, ১৯৭৮ সালে আনুলিয়া-খাজরা ইউনিয়নের ভোলানাথপুর, মনিপুর, পিরোজপুর, ঘাসটিয়া, খালিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য হরিমর্দন স্লুইজ গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই থেকে দীর্ঘ ৪২ বছর যাবৎ গেটটি দিয়ে দুই ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশিত হয়ে আসছে। জরুরী গেটটির সুরক্ষার জন্য তেমন কোন পদক্ষেপ এতদিন নেওয়া হয়নি। তদুপরি এলাকার কিছু চিহ্নিত ঘের ব্যবসায়ীরা অপরিকল্পিত ভাবে ঘেরে পানি নেওয়ায় এবং জোয়ারের সময় অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করায় গেটের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। ইতি মধ্যে গেটের দু’পাশের ব্লক নষ্ট হয়ে নদীতে চলে গেছে। পিরোজপুর গ্রামের নাসরিণ সুলতানা জানান, অসাধু ঘের ব্যবসায়ীরা সময়ে অসময়ে গেটদিয়ে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করে থাকে। ফলে দু’পাশের রাস্তা ভেঙ্গে বছরের অধিকাংশ সময়ে পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে প্রায় দেড়শতাধিক পরিবার ভাঙ্গন আতংক নিয়ে জীবন যাপন করছে। এদিকে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতয়াত ও খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অলমগীর আলম লিটন জানান, হরি মর্দন স্লুইজ গেটের পাটা নষ্ট হয়েগেছে। বিষয়টি তিনি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে উত্তোলন করেন। সেখানে পাটটি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস মিলেছে কিন্তু এখনো কোন উদ্যোগ লক্ষ্যকরা যায়নি। তিনি আরও জানান, কিছু অসাধু ঘের ব্যবসায়ীর জন্য এলাকায় জনদুভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত গেটটি সংস্কারের জন্য প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।