বেতনের দাবীতে দারুল আরকাম শিক্ষকদের মানববন্ধন
একুশে জার্নাল ডটকম
জুন ২৮ ২০২০, ০০:১৮

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতি বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার শিক্ষকগণ।
গত বৃহস্পতিবার ২৫ জুন গোপালগন্জের টুঙ্গী পাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত শেষে শিক্ষকগণ শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন।
একাধিক জেলা থেকে আগত শিক্ষকগণের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন-
দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতি গোপালগন্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহা. শহিদুল ইসলাম শহীদ, দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতি ফরিদপুর জেলা সভাপতি মুফতি বেলায়েত হোসেন, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহা. সাখাওয়াত হোসেন (এমএসএস), প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহা. আলম হোসেন, মুফতী মোঃ অহিদুল ইসলাম, মাওলানা মোঃ শামসুল ইসলাম, মাওলানা মুহা. আব্দুল্লাহ, মাওলানা আবুল খায়ের, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আল আমিন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা শহিদুল।
এছাড়া ও আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মোস্তফা, মাওলানা হুসাইন আহমেদ, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা ইমরুল কায়েস, মাওলানা ইমরান, মাওলানা হাফিজ খান, মাওলানা ইসরাফিল, মাওলানা হাছিব শেখ, মাওলানা আমিনুর রহমান, মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
সূত্রে জানা যায়, উক্ত বিষয়ে যুগান্তর, ইনকিলাব সহ কয়েকটি জাতীয় পত্র-পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিগত দিনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি দারুল আরকাম মাদরাসা প্রকল্প যাতে দ্রুত পাশ হয় সে জন্য জাতীয় সংসদ সদস্য, ইফার গভর্নংবডির সদস্যও সুপারিশ করেছেন বলে জানা যায় একাধিক সূত্রে। কিন্তু তারপরেও ৬ মাস অতিবাহিত হতে চলছে। এখনো বেতন- ঈদ বনাস না পাওয়ায় অনেকটা হতাশা ও উদ্বিগ্ন অত্র মাদ্রাসা শিক্ষকরা।
দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় সদস্য ও গোপালগন্জ জেলা শিক্ষক সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে মানব বন্ধনে নেমেছি। ৬ মাস যাবত বেতন পাই না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতি ফরিদপুর জেলা শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক অভিপ্রায় (স্বদিচ্ছায়) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো সল্প সময়ে আলোড়ণ সৃষ্টি করেছে। অথচ ৬ মাস বেতনহীন শিক্ষকরা মানবেতর জীবন- যাপন করছে। তাই আমি আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব দ্রুত একটি সু-ব্যবস্থা করবেন এবং তা করে প্রায় ২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী, ২০২০ জন শিক্ষক, অভিভাবক, জমিদাতা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং হাজার হাজার রেজাল্ট প্রত্যাশীদের মুখে হাঁসি ফোটাবেন।”
এব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গোপালগন্জ জেলার ডিডি জনাব মুহা. মাসউদুল হক বলেন, দারুল আরকাম মাদ্রাসার শিক্ষকরা সরকারি প্রকল্পের আওতায় চাকরি করেন। নতুন প্রকল্প পাশ না হওয়ায় তাদের ৬ মাস যাবত বেতন- (সম্মানী) ঈদ বনাস বন্ধ রয়েছে। একনেকে প্রকল্প পাশ হলেই, তারা আবার বেতন পাওয়া শুরু করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ মে পরিকল্পনা কমিশন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবিত পাঁচ বছর মেয়াদি মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৩ হাজার ১২৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম মাদ্রাসাকে বাদ রাখা হয়। এতে চরমভাবে হতাশায় পড়েন ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকরা। এসব প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে প্রতিষ্ঠার নাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লেখা রয়েছ।