চলমান করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল ৫টায় অধিবেশন বসবে। সংসদের কার্যক্রম চলবে সর্বোচ্চ ১২ কার্যদিবস।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় আগামী ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট পাস হবে ৩০শে জুন। সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিও থাকবে সীমিত।

নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি কঠোর স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে বুধবার বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদে শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় উপস্থাপিত হবে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। করোনা প্রাদূর্ভাবে এই অধিবেশনে বয়স্ক ও অসুস্থ সদস্যদের উপস্থিতি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদের মূল ভবনে প্রবেশের মুখে স্থাপন করা হয়েছে ডিসইনফেকশন চেম্বার। থার্মাল স্ক্যানারে তাপমাত্রা মেপে সংসদ ভবনে প্রবেশের বিধান কঠোরভাবে পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর মাস্কপরা হবে বাধ্যতামুলক।

অধিবেশন কক্ষের আসনবিন্যাসে আনা হয়েছে পরিবর্তন। সংসদনেতা ও প্রধানমন্ত্রীর আশপাশের বেশ কয়েকটি আসন খালি থাকবে। সদস্যরা এক আসন ফাঁকা রেখে বসবেন। কোরাম পূর্ণ হবার জন্য প্রতিদিনের বৈঠকে ৬০ জনের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। বাকী সদস্যদের চারভাগে ভাগ করা হবে। একেকজন তিনদিন করে অধিবেশনে উপস্থিত থাকার সুযোগ পাবেন।

অধিবেশন কক্ষে যারা দায়িত্বপালন করবেন তাদের তালিকা করে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা সংসদ সচিবালয়ের তত্ত্বাবধানে সংসদ চলাকালীন কোয়ারেন্টিন থাকবেন।

এবারের বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন না গণমাধ্যম কর্মীরা। বরাবরের মতো সংসদ টেলিভিশনে সরাসরি বাজেট কার্যক্রম সম্প্রচারিত হবে।