বিএনপি খুনিদের পক্ষে: তথ্যমন্ত্রী
একুশে জার্নাল ডটকম
আগস্ট ২০ ২০২০, ১২:৫৪
বিএনপি নেতারা খুন ও খুনিদের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আজকে যখন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতই স্পষ্ট হয়ে গেছে, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর রিজভী আহমেদসহ বিএনপি আবোল-তাবোল বকা শুরু করেছে। তাদের এই বক্তব্য হচ্ছে খুনি এবং খুনের পক্ষে। আমি তাদেরকে অনুরোধ জানাব, তারা যেন খুনি এবং খুনের পক্ষে অবস্থান না নেন।
বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ ও দর্শক শ্রোতা পাঠক ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুজ্জামান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, সংঘের সাবেক সভাপতি ও দর্শক শ্রোতা পাঠক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শহীদুল আলম সাচ্চুসহ শিল্পী প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন। সভার শুরুতেই মন্ত্রী ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
সাংবাদিকরা এসময় বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক বক্তব্য ‘ক্ষমতাসীনরা ইতিহাস বিকৃতির অপরাজনীতিতে নেমেছে’এবং সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ‘১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াকে জড়ানোর চক্রান্ত চলছে’-এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডে জিয়ার জড়িত থাকা স্পষ্ট, ইতিহাস এর সাক্ষী।’
ড. হাছান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আপনারা জানেন, কর্ণেল ফারুক-রশীদ বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছিল, তারা যখন এই ষড়যন্ত্র শুরু করে, তখন জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়েছিল এবং জিয়া তাদেরকে এগিয়ে যেতে বলে। জিয়ার বক্তব্যটা এমনই ছিল- আমি যেহেতু সিনিয়র অফিসার, আমি পর্দার অন্তরালে থাকবো, তোমরা এগিয়ে যাও। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন মাজেদ, যার দণ্ড কিছুদিন আগে কার্যকর করা হয়েছে, তিনি তার ফাঁসির আগে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে জিয়াউর রহমান কিভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান যখন রণাঙ্গণে অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তখন তার কাছে পাকিস্তানী কর্ণেল বেগ চিঠি লিখেছে যে- ‘তোমার কাজকর্মে আমরা খুশি এবং তোমার স্ত্রী-পুত্রদের জন্য চিন্তা করিও না, তারা ভালো আছে। মেজর জলিল সম্পর্কে তুমি একটু সতর্ক থেকো। তোমার কাজকর্মের জন্য তুমি পুরস্কৃত হবে।’ আমরা পরবর্তীতে দেখেছি সেই কর্ণেল বেগ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিল।’
জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব খন্দকার মোশতাকের প্রধান সহযোগী না হতো, তাহলে হত্যাকাণ্ডের পর কেন তিনি জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান বানাবেন, বলে প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আরও প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের তিনি পুরস্কৃত করে বিদেশী মিশনে চাকরি দিয়েছিল, ’৭৯ সালের পার্লামেন্টে ইনডেমনেটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল, যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয়। এ সকল ঘটনা প্রবাহই তো সাক্ষ্য দেয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত।
টিভি নাট্যশিল্পী মুনিরা ইউসুফ মেমী, বন্যা মির্জা, শামীমা তুষ্টি, , আফজাল, আশরাফ কবীর, আরমান পারভেজ মুরাদ, কোহিনুর, নাজমুন নেসা নিপা, ইয়ামিন জুয়েল, কচি খন্দকার, মাহবুবা মিনহাজ বিপা, শুভ খান, ইয়ামিন জুয়েল, শারমিন মিশু, শোয়েব সাদিক, আরিফ, অন্তু করিম, মণীষা শিকদার, জারা, অপু আহমেদ, তমাল, তন্দ্রা, নাসরিন ইসলাম, নিথর মাহমুদ, জিনিয়া প্রমুখ এ সময় প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন।