বিএনপির দায়িত্ব তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরি করা
একুশে জার্নাল ডটকম
সেপ্টেম্বর ০৪ ২০২১, ০৯:৪২

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে রাষ্ট্রের নায়ক করে তোলাই বিএনপির বর্তমান কাজ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, বিএনপির দায়িত্ব তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরি করা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত রহমানের তারেক রহমানের ১৪তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের এখন দায়িত্ব আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরি করা। আমরা পল্টনের নায়ক না বানিয়ে, পরিস্থিতি-পরিবেশ তৈরি করে তাকে দেশে এনে রাষ্ট্রের নায়ক আমরা বানাই। এটা শুধু মুখে বললে তো হবে না। মুখে বলার সঙ্গে সেটা অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মুক্তিযুদ্ধের জেড ফোর্সে অধিনায়ক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের কটূক্তির জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে শুধু জিয়াউর রহমান কেন, যারাই যুদ্ধ করেছেন তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া যুদ্ধাপরাধের শামিল। আবার যুদ্ধাপরাধের ট্রাইব্যুনাল চলবে।
আমরা চালাব, আমরা চালাব। যুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে- এরা তো স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, এরা যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। ওরা তো আলবদরের চেয়েও ক্ষতিকারক। আলবদর তো মাটির নিচে গেছে। রাজাকাররাও কয়েকদিন পর আর থাকবে না।
গয়েশ্বর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ যারা দেখেছেন তাদেরকেও ৩০ বছর পর খুঁজে পাওয়া যাবে না। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা নিজ কানে শুনছেন এই লোকগুলো ৩০ বছর পর পৃথিবীতে থাকবে না। কিন্তু জাতি লালন করবে সত্য ইতিহাসগুলো। সেই লালনের ক্ষেত্রটা তৈরি করা আপনার-আমার দরকার।
১/১১ এর ষড়যন্ত্রকারী অনেকেই দলে আছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ১/১১ নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। কারণ ১/১১ এর সঙ্গে যারা জড়িত প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আমার দলের, তারাই নেতৃত্ব দেন। সেখানে বইলা আমি দলে বিভাজন ফালাই কেমনে। আমি এটা চাই না।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তি বুঝে না, কিচ্ছুই বুঝে না। ওরা একটাই বুঝে, ওরা মনে করে আলোচনায়, ওরা মনে করে ভাষণ দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। ওরা মনে করে যে, আদালতের রায়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে।
আমরা ছোটবেলায় শুনতাম আইয়ুবের শাসন, শেখ মুজিবের ভাষণ, আর এখন শেখ হাসিনার দুঃশাসন- এই তিনটা বিষয়। আমি বলতে চাই, আদালতের রায়ে দেশ স্বাধীন হয় নাই, ভাষণে দেশ স্বাধীন হয় নাই, আলোচনায় দেশ স্বাধীন হয় নাই। যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়েছে।