বাহুবলে ম্যানেজার এক্স-রে টেকনিশিয়ানের অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ৩জন চাকরিচ্যুত,
একুশে জার্নাল
জুন ০৩ ২০১৯, ১৩:২৯

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাহুবল উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সুনামধন্য চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ৩ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (৩১মে) দুপুর প্রায় ২টার ঘটিকায় সেন্টারের এক্স-রে রুমে।
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার জাঙ্গালিয়া হাসপাতাল এলাকায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ম্যানেজার সোহেনা আক্তার (১৯)ও সেন্টারের এক্স-রে টেকনিশিয়ান সজিব আহমেদ (৩২) এর বিরুদ্ধে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্স-রে রুমে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সেন্টার কর্তৃপক্ষ সাময়িক ভাবে সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছেন এবং ৩ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালিক পক্ষ।
বাহুবল হাসপাতাল এলাকায় এই সুনামধন্য পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পবিত্র রমজান মাসে এমন অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সেন্টারের সামনে অবস্থান নেন এলাকাবাসী। উত্তেজনা পরিস্থিতি কর অবস্থা শান্ত হবার লক্ষে এসময় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও বাহুবল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শাহীন আহমেদ সে সময় উপস্থিত হন। এলাকাবাসীকে সেন্টারের মালিক অধ্যক্ষ শাহিন আহমেদ, বলেন আপনারা এখন এখান থেকে যার যার অবস্থানে চলে যান।
আমরা মালিক পক্ষ বসে ৩জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছি এবং সেন্টার সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঈদের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তাঁরা জানান। তাঁরা দুজন এ কথা বলার পর এলাকাবাসী সেন্টারের সামন থেকে সড়ে যান।
এলাকাবাসী বলেন দীর্ঘদিন যাবত সজিব আহমেদ হাসপাতাল এলাকায় ছিল।সে ছোট থেকে এখানেই বড় হয়েছে তার বাবা ছিলেন বাহুবল হাসপাতালের বাবুর্চি।সজিবের গ্রামের বাড়ি উপজেলার পুটিজুরী ইউবিয়নের রাজসুরত গ্রামে।
তার বাবা হাসপাতালের বাবুর্চি হওয়ার সুবাদে সজিব উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামে বিয়ে করে বর্তমানে তার একটি সন্তান ও রয়েছে।
একটি সূত্র জানায়,, প্রায় ২ থেকে ৩ মাস যাবৎ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পায় সোহেনা আক্তার।
তার বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বড়চর গ্রামে। সোহেনার পিতা মৃত কদর আলী।
সৎ ভাই লেচু মিয়া,মকসুদ মিয়া ও লায়েছ মিয়ার রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।বর্তমানে সোহেনা জাঙ্গালিয়া এলাকায় মাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকে তার নানার বাড়ী বাহুবল উপজেলার চার নং সদর ইউনিয়নের কসবাকরিপুর গ্রামে।
বড়চর গ্রামবাসী জানান সোহেনা ছোট থেকে বড় হয়েছে আমিরিকা প্রবাসীর বাড়িতে। তারাই সোহেনা ও তার মায়ের দেখাশোনা করতো।
একটি সূত্র জানায়, সোহেনা আক্তার দীর্ঘদিন যাবত একটি চাকরি খোঁজখবর নিচ্ছিলেন সে সুবাদে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন ম্যানাজারের প্রয়োজন হওয়ায় সোহেনাকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি দেয়া হয়।
প্রায় ২-৩ মাস যাবৎ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত রয়েছেন। গত শুক্রবার দুপুর প্রায় ২টার দিকে এক সুযোগে এক্স-রে রুমে এক্স-রে টেকনিশিয়ান সজীবকে নিয়ে অন্তরঙ্গ মূহুর্তে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লেব টেকনিশিয়ান হাফিজ ও সেন্টারের আয়ার হাতে তারা ধরা পড়ে।
পবিত্র রমজান মাসে হাসপাতাল এলাকায় এমন অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনা ঘটায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী সেন্টারের সামনে অবস্থান নেন।
এসময় সেন্টার কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে ঈদের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললে সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়া এলাকাবাসী ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।এ ঘটনায় বাহুবল ও হাসপাতাল এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।