বাহুবলে ভাগ্নির কাবিননামার টাকা আত্মসাৎ; সংবাদকর্মীর নামে থানায় অভিযোগ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ১৪ ২০২০, ২০:০৪

নিজস্ব প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় ভাগনির বিয়ের কাবিনের টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে বোনকে মারধোর করেছে এক সংবাদকর্মী।

এ ঘটনায় বাহুবলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বেলা প্রায় ২ টার দিকে উপজেলার চলিতাতলা বাড়িতে।

জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের চলিতাতলা প্রকাশিত চলিতাবাড়ি গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার নাতনী আয়মনা বেগমের মেয়ের বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী বাহুবল সদর ইউনিয়নের সাতপাড়িয়া গ্রামের মৃত মনতাজ উদ্দীনের ছেলে মোজাহিদ মিয়ার সাথে। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই কোন কারণ ছাড়ায় মোজাহিদ মিয়া স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান সহ এলাকার বিশিষ্টজনরা বিচার সালিশে বসেন। কিন্তু বিচার সালিশের সিদ্ধান্ত বাদী পক্ষ মেনে নিলেও মোজাহিদ ও তার লোকজন না মানায় বিষয়টি আজও ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। মোজাহিদ মিয়া গত চার মাস আগে আয়মনার দূর সম্পর্কের ভাই সংবাদকর্মী আজিজুল হক সানু মিয়ার সাথে রহস্যজনক ভাবে হাত মিলিয়ে, আয়মনার মেয়েকে মোশাহিদ মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়।

এক পর্যায়ে মোজাহিদ মিয়ার কথা মত সংবাদকর্মী আজিজুল হক সানু তার দূর সম্পর্কের বোন ফাতেমা বেগম ও আয়মনা বেগমকে বিষয়টি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে শেষ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সংবাদকর্মী সানু মিয়ার কথায় ফাতেমা বেগম ও আয়মনা বেগম রাজি না হওয়ায়,গত বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে ফাতেমা বেগমকে দা- দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে সানু মিয়া।

রক্তাক্ত অবস্থায় ফাতেমা বেগমকে সাংবাদিক সানু মিয়ার কবল থেকে উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে আসলে ফাতেমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়,এ সময় ফাতেমা বেগমের হাতে অসংখ্য সেলাই দেয়া হয়, একপর্যায়ে ফাতেমা বেগমের অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ফাতেমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে সানু মিয়ার মারধোরে আহত ফাতেমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফাতেমা বেগম জানান, সাংবাদিক সানু মিয়া আমার দূর সম্পর্কে ভাই হয়, সে আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার বোনের মেয়ে প্রিয়ার স্বামী মোশাহিদের সাথে হাত মিলিয়ে দুই লক্ষ টাকা কাবিনের মধ্যে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে শেষ করতে চায়। আমরা সানু মিয়ার কথা মত রাজি না হলে গত বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে সানু মিয়া উত্তেজিত হয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা-দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।

ফাতেমা বেগম আরও বলেন, এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে সানু মিয়ার বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করেছি। সানু মিয়া নিজেকে অনেক বড় সাংবাদিক বলে, আমরা যদি তার কথা মত না চলি তাহলে সে আমি ও আমার পরিবারেরকে শেষ করে দেবে বলে ঘোষণা দেয়।বর্তমানে আমরা সানু মিয়ার ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।