বাহুবলে ঝুকিপুর্ন ভবনে পাঠদান, যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা
একুশে জার্নাল
ফেব্রুয়ারি ০৫ ২০১৯, ১৪:৪৪

শাহ মোহাম্মদ দুলাল আহমেদ,বাহুবল (হবিগঞ্জ)
হবিগঞ্জের বাহুবলে ইজ্জতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ঝুকিপুর্ন ভবনেই পাঠদান করে আসছেন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক।
বর্তমান সরকার শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমান সরকারই শিক্ষার মান উন্নয়ন,শিক্ষার অগ্রযাত্রা কে পৃথিবীর বুকে এক দৃষ্টান স্থাপন করার লক্ষে দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার অগ্রনী ভুমিকা রেখে আসছেন।
সংশ্লিষ্টের ভাষ্যমতে,দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিজিটাল রুপে রুপান্তর করা হবে।
তাই উন্নয়ন চোঁয়া থেকে বঞ্চিত ধসে পরার উপযোগী বাহুবল উপজেলার ইজ্জতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি অচিরেই নতুন মুখ দেখবে বলে আশা করা যায়।
প্রধান শিক্ষক অচিন্ত কুমার আচার্য্য জানান,
১৯৮৭ সালে শন-বাঁশের ঘর বানিয়ে স্কুল প্রতিষ্টা করি।
তিনি আরোও জানান,দীর্ঘ আট বছর ছন- বাঁশ ঘরেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করি।
১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল এর মাধমে নতুন একটি ভবন নির্মান হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়,তিন টি রুম বিশিষ্ট ইজ্জতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তবে তিনটি ক্লাস রুম ই ফেটে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে,এছাড়া ও ভবনের পুরো ছাদ যে কোন সময় ভেঙ্গে পরে যেতে পারে বলে আশংকা কর যাচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক অচিন্ত কুমার আচার্য্য জানান,ভবন টি যে কোন সময় ধসে পরতে পারে তাই শিক্ষার্থীরা ভয়ে স্কুলে অনুপস্থিত থাকে।
পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রী জানায়,আমরা যে রুমে ক্লাস করতাম ঠিক সেই রুম টাই খুব ঝুকিপুর্ন,
ভয় আমরা নিয়মিত স্কুলে আসি না।
ফলে আমরা লেখা পড়ায় পিছিয়ে যাচ্ছি।
ছাত্রী নতুন একটা ভবনের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আকুল আবেদন জানান।
সহ-কারি শিক্ষক নমিতা রানী জানান,একটা রুমে এক সাথে ২ টা ক্লাস চালাতে হয়।
আমরা একজন একটা ক্লাস শেষ করলে আরেকজন শিক্ষক ক্লাস করতে হয়।
এভাবে দীর্ঘ দিন যাবত পাঠদান করে আসছি আমরা।
এছাড়া ও আজ ৫ ফেব্রুয়ারি স্কুল পরিদর্শন করে নব জাগরণ যুব উন্নয়ন সংস্থা।
বিশেষ ভাবে পরিদর্শন করেন বাহুবলের বাদে অলুয়ায় যুবকদের নিয়ে গঠিত ‘নব জাগরণ যুব উন্নয়ন সংস্থা’র সভাপতি,মিরপুর বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক,ইতিহাসবিদ জনাব মোঃ ইয়াকুত আলী।
পরিদর্শন শেষে প্রভাষক ইয়াকুত জানান,স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়ন,সংস্কার,নতুন ভবন,সর্বপরি স্কুলের মান কে অগ্রযাত্রায় নেওয়ার জন্য প্রয়োজনে শিক্ষামন্ত্রনালয় পর্যন্ত যেতে আমি তথা আমাদের সংস্থা প্রস্তত।
তিনি বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব জসীম উদ্দিন ও শিক্ষা অফিসার রিংকু স্যারের সু দৃষ্টি আশা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শাহ মোহাম্মদ দুলাল আহমেদ,মোঃ সিরাজ মিয়া, নবীর হুসেন,আকিবুর রহমান মালেক,ফয়জুল মিয়া।