বালাগঞ্জে সরকারী জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য আহরনের অভিযোগ; ৫০ হাজার টাকা জরিমানা 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ২৫ ২০২০, ২০:৪৮

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:

বালাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাম্প বসিয়ে জলাশয়ের পানি শুকিয়ে মাছ আহরনের খবর পাওয়া গেছে।

মৎস্য আইন বিরোধি এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে আইনী কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় জলাশয় শুকিয়ে মাছ আহরণ ও মাছের বংশ ধ্বংস করে যাচ্ছে এক শ্রেনীর অমৎস্যজীবি মানুষ।

ফলে দেশীয় মাছের বিভিন্ন প্রজাতী ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরই জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করলে একদিকে যেমন মাছর বংশ ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে আশাপাশের বোরো ফসলে পানি সেচের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

পানি শুকিয়ে মাছ ধরা এবং জলমহাল সাব-লিজের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে এক শ্রেনীর প্রভাবশালী মহল এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় সরকারী ঘোরাপুর হাওরের চাতল-পাটাচাতল জলাশয় ও মাছ প্রজননের একটি অভয়াশ্রম রয়েছে।

১৪২৬ থেকে ১৪৩২ বাংলা ৬ বছরের জন্য বালাগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর সিংরাকোনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে সরকারীভাবে লিজ নেওয়া হলেও খোজ নিয়ে জানাগেছে একটি প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ চক্র এদেরকে অর্থ ও প্রভাব দিয়ে পরিচালনা করে আসছে ।

গত কয়েকদিন ধরে চাতল (ঘোরাপুর হারড়ে) জলমহালে বেশ কয়েটি পাওয়ার পাম্প বসিয়ে জলমহালটি শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে।

মৎস্য আইন অমান্য করে প্রকাশ্যে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরার প্রক্রিয়ায় লিপ্ত রয়েছে অমৎস্যজীবি এই প্রভাবশালী মহলটি।

গত সপ্তাহে স্থানীয় কুশারগ্রামের মিলাদ মিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে ঔ জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরণ বন্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে দেবাংশু কুমার সিংহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।