বাবরী মসজিদ মামলার রায় অবিলম্বে বাতিল করতে হবে: ইসলামী ছাত্র মজলিস

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ০৯ ২০১৯, ১৬:৫২

ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদের পবিত্র জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের রায় প্রত্যাখ্যান ইসলামী ছাত্র মজলিসের

ভারতের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্যে ভারতীয় আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনসুরুল আলম মনসুর ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মনির হোসাইন গণমাধ্যমে এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদের জায়গা রাম মন্দির নির্মাণের রায়ে মুসলমানরা ন্যায় বিচার পায় নি। সুপ্রীম কোর্ট রায়েই বলেছে, ‘ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী এখানে কোন হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে তার কোন প্রমান নেই।’ অথচ রায়ে জায়গাটি মন্দির নির্মাণের জন্যে দিয়ে দেয়া হলো। রাম জন্মভূমির কল্পিত দাবীকে কেন্দ্র করে ভারতের অযোধ্যায় ১৫২৯ সালে নির্মিত প্রায় পাঁচশত বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ১৯৯২ সালে উগ্র হিন্দুরা ভেঙ্গে ফেলে। বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার পরপর সে সময়ে ভারতে হাজার হাজার মুসলমানকেও হত্যা করা হয়। আর আজকে ভারতীয় সুপ্রীম কোর্ট ভেঙ্গে ফেলা বাবরী মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের রায় দিয়ে শুধু ভারতের মুসলমানদের নয় সারা দুনিয়ার মুসলমানদের ব্যথিত করেছে। রায়ে মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের জন্যে অন্যত্র ৫ একর জায়গা প্রদানের কথা বলে মূলত: মুসলমানদের প্রতি করুণা প্রদর্শনের চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। এ রায়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকারের মনোভাব ও পরিকল্পনারই প্রতিফলন ঘটেছে। বাবরী মসজিদ ধ্বংস ও মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণ মুসলমানদের পক্ষে কোনভাবই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। এই রায় বিশ্ব মুসলিম বরদাশত করবে না। জোর করে এবং অন্যায়ভাবে কোন কিছু চাপিয়ে দেয়ার পরিণতি কখনো শুভ হয় না।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য হিন্দুদের পক্ষে দেয়া ভারতীয় সুপ্রীম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান এবং ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর উগ্রবাদী কর্তৃক ভেঙ্গে ফেলা অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ স্বস্থানে পুনঃনির্মাণের জোর দাবী জানান।