বাইরের প্রভাব ও হস্তক্ষেপ কমানো গেলে আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
একুশে জার্নাল ডটকম
জুলাই ২৭ ২০২০, ১৮:১৩

স্বাস্থ্যখাতে বাইরের প্রভাব ও হস্তক্ষেপ বেশি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এটা কমানো গেলে আমরা আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব।
তিনি বলেন, আমরা যারা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করি, তাদেরও আমি বলব ইন্টার ফেয়ারেন্সটা কম করি। আমাদের স্বাস্থ্যখাতে বাইরের ইন্টারফেয়ারেন্স (হস্তক্ষেপ), বাইরের ইনফ্লুয়েন্সটা (প্রভাব) অনেক বেশি। এটা কমাতে হবে। এটা কমানো হলে আমরা আরও ভালোভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব।
সোমবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সঙ্গে অধীন দপ্তর ও সংস্থার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) শেষে বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, যেখানে আমরা অন্যায় দেখছি, সেখানে আমরা ছাড় দিচ্ছি না। এটা আপনারাও দেখছেন। দুটি প্রতিষ্ঠান অন্যায় করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যেখানে এটা দেখা দেবে, সেখানেই আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে যে অন্যায় দেখা যাবে, আমরা চেষ্টা করব। এটা একবারে ফেরানো যায় না, গোটা সমাজের দায়িত্ব আছে। সমস্যা এক জায়গায় না, সমস্যা সব জায়গায় রয়েছে। সব জায়গায় শুদ্ধ হওয়া দরকার।
দেশের স্বাস্থ্যখাতের অধিক সমালোচনার কারণে ভিন্ন কোনো মহল সুবিধা নিতে পারে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত এখন আর সেই ভঙ্গুর অবস্থায় নেই। কিন্তু সারাক্ষণ এই খাতকে বেশি সমালোচিত করলে মানুষ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আস্থা হারাবে এবং চিকিৎসার জন্য সামান্য কিছু হলেই বিদেশমূখী হবে। এতে অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্যখাত লাভবান হবে। আর আমাদের স্বাস্থ্যখাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ আমাদের দেশে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা এখন বিদ্যমান রয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি এখন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যখাতে কোনো অনিয়ম হয় কিনা তার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল সেবা মনিটরিং-এর জন্য নতুন কমিটি করা হয়েছে। কাজেই এখন যেখানেই অন্যায় হবে সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট ৮টি বিভাগের প্রধানগণসহ আরো অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি সম্পাদনকৃত বিভাগগুলি হচ্ছে-স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার, নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, নিমিউ এর টেকনিক্যাল ম্যানেজার, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্কশপ ও এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড।