বাংলাদেশে হিন্দুরা সুরক্ষিত, ভারতে মুসলমানরা অসুরক্ষিত : বাণিজ্যমন্ত্রী
একুশে জার্নাল ডটকম
অক্টোবর ২৫ ২০১৯, ১৫:৩০

‘বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন হয় না। তারা বাংলাদেশে সুরক্ষিত। বরং ভারতে মুসলমানরা অসুরক্ষিত। সেখানে মুসলমানরা নির্যানের শিকার হয়।’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি।
ভারতের আসামের প্রভাবশালী বেসরকারি টিভি চ্যানেল প্রতিদিন টাইমসকে দেয়া সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। গত মঙ্গল ও বুধবার আসামের গুয়াহাটিতে দু’দিনব্যাপী ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি ও প্রধানমন্ত্রী অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর ধর্মীয় নির্যাতন নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ আমার বাংলাদেশ। সেখানে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্প্রীতি রয়েছে। হাজার হাজার দুর্গাপুঁজা হচ্ছে প্রতিবছর। আমাদের রংপুরে ১৫৬টি দুর্গাপুজা হয়েছে, আমি মণ্ডপে গিয়ে আনন্দ করেছি। গীভর রাত অবধি নাড়ু খেয়ে ঘুরেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরাও সেটা মানি। তাই সবাই উৎসবে যোগ দেই।’
শেখ হাসিনার অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান দাবি করেন, ‘বাংলাদেশ হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে আমরা একসঙ্গে বসবাস করছি। তবে সমাজে দু-একজন বদ মানুষ সবখানেই থাকে। তার জন্য গোটা দেশ বা জাতিকে বদনাম করা যায় না। ব্যক্তিগত পর্যায়ের ছোটখাটো সমস্যা সরকারের নীতি বা দেশের পরিস্থিতি বলে বিবেচনা করা যায় না।’
এ সময় সাংবাদিককেই পাল্টা প্রশ্ন করে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন, কিন্তু আপনাদের দেশ থেকে কী খবর পাচ্ছি আমরা। ভারতে মুসলমানরা নিরাপদে নন। সর্বত্র না হলেও কিছু কিছু স্থানে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। উত্তর ভারতের নানা স্থানে ওই ধরনের ঘটনা ঘটছে। গো মাংস (গরুর গোশত) খাওয়া নিয়ে নির্যাতন হয়। মুসলমানদের ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করানো হয়। আসলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় কোনো বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও সেটাকে বড় করে দেখানো হয়। কিন্তু সেটা মোটেই হিন্দু নির্যাতন নয়, দাবি করেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার আসামের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকায় গুয়াহাটি, শিলচর ও কলকাতা সংস্করণে ‘বাংলাদেশের হিন্দুরা সুরক্ষিত, ভারতের মুসলিমরা নন’ শিরোনামে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির মন্তব্য সংবলিত সংবাদ গুরুত্বসহকারে ছেপেছে। গুয়াহাটি ও শিলচর সংস্করণে প্রধান শিরোনাম ছিল এটি।