বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় “আম্ফান”

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ১৭ ২০২০, ০১:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক;

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে ‌”আম্ফান”।

শনিবার রাত সাড়ে দশটায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ‘দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়তে তিন থেকে চারদিন সময় লাগতে পারে।

এদিকে আজ সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়া অধিদফতর তাদের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে দুপুরে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ইতোমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে ছিল। রাতে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, আজ রাতেই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে “আম্ফান”।