জসিম উদ্দীন মিছবাহ, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশায় ব্রীক ফিল্ড ও সমাজের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ঝন্টু গ্রুপ ও নুরুল আবছার গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে হাফেজ মাওলানা মোঃ খালেদ বিন ওয়ালিদ (২৫) নামে এক তরুণ আলেম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সে একই এলাকার নেছার আহমদের পুত্র বলে জানা যায়। দুই পক্ষের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় আহতদের মধ্যে আরো এক জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল

কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। সে বাহারছডার ৪ নং ওয়ার্ডের আবু সালেক এর পুত্র ইব্রাহিম (২৮)। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাহারছড়া ইউপির ইলশা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মিয়ার পুত্র ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন ঝুন্টুর সাথে সমাজের আধিপত্য নিয়ে একই এলাকার দলিলুর রহমানের পুত্র নুরুল আবছারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল । তারই জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় অাধা ঘণ্টাব্যাপী গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্তত ২ জন। ইলশা গ্রামে এর পূর্বে ও একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ইলশা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা নিহতের কথা শিকার করে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমি নিজে ও ঘটনাস্থলে রয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়ে।এই ঘটনার সাথে জড়িত সকল কে আইনের আওতায় আনা হবে এবং ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অভ্যাহত আছে।এঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে বাঁশখালীর তরুণ আলেম( সমাজ।