বরিশালের গণসমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী আহত হলেও ইশরাক অক্ষত আছেন।

আজ শনিবার সকালে বরিশালের গৌরনদীতে এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন।

হামলার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সদস্য ইশরাক হোসেন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের এবং পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

আজ শনিবার সকালে বরিশালের গৌরনদীতে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

তিনি জানান, বরিশালের গণসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা থেকে শনিবার ভোরে তার গাড়িবহর রওনা দেয়। ৭টার দিকে গৌরনদীর মাহিরা বাজারে পৌঁছালে তার উপর হামলা হয়।

ইশরাককে উদ্ধৃত করে শায়রুল কবির বলেন, বিএনপির সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ সরকারকে ভীত করেছে। জোয়ার আটকাতে না পেরে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দিয়ে’ বাধার সৃষ্টি করছে, কাপুরুষের মতো রাতের আঁধারে গাড়িবহরে চোরাগুপ্তা হামলা করে পালিয়ে যাচ্ছে।

শনিবারের হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক সহিদ, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মামুন ভূঁইয়া, কর্মী রাসেল, রকি, বাবুল, খোকন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ইমরান, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতা রকি ও আল আমিন।

ইশরাক হোসেনের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে লাইভ ভিডিওতে ভাঙচুর হওয়া বেশ কয়েকটি গাড়ির সঙ্গে দুয়েকজনকে রক্তাক্তও দেখা যায়।