ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুরেও চলছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতংক। সরকারের পক্ষ থেকে ভাইরাস সংক্রমণ রোধের জন্য সকল চেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি করোনা টেস্টের জন্য সরকার বেশ কয়েকটি জায়গা নির্ধারণ করে।

কিন্তু করোনা টেস্টের জন্য প্রাথমিকভাবে ফরিদপুরের নাম না উঠে আসায় ফরিদপুরের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলেও এই নিয়ে অনেকেই ছিল ক্ষুব্ধ।

এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই নিয়ে অনেকেই লেখালেখির পাশাপাশি জোর দাবী জানানো হয় ফরিদপুরের করোনা টেস্ট খুবই জরুরী। কারণ ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার মানুষ কোভিড-১৯ এর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে এই বিষয়ে অনেকটাই উদ্বিগ্ন ছিল সাধারণ জনগণ বলে অভিমত অনেকের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন এমপির হস্তক্ষেপে তা নিরসন হওয়ার অগ্রগতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফরিদপুরবাসী।

অবশেষে করোনা টেস্টের মেশিন বসানোর জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি (অনুজীব বিদ্যা) বিভাগের ল্যাবে জায়গা নির্ধারণ করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে ফরিদপুরের সকল শ্রেণীর জনগণের মাঝে।

শুক্রবার ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পরিদর্শন শেষে জায়গা নির্ধারণ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) কে জানিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপরে সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের ঢাকা থেকে জানানোর পরে আমরা জায়গা নির্ধারণ করে ঢাকায় জানিয়ে দিয়েছি। অতএব ঢাকা থেকে এ বিষয়ের অভিজ্ঞ পরীক্ষকরা এসে দেখে তারপর মেশিন বসানোর ব্যাপারে কাজ শুরু করবেন। তিনি বলেন সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিন লাগতে পারে করোনা টেস্ট শুরু করতে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ ডাঃ খবিরুল ইসলাম বলেন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. আশরাফুল আলম করোনা টেস্টের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি এ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে তার উপর এই দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য, এলজিআরডি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন এমপি সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন, আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি দ্রুত করোনা টেস্ট শুরু হবে ফরিদপুরে। ধারণা করা হচ্ছে তার উদ্যোগেই ফরিদপুরে শুরু হতে চলছে করোনা টেস্ট।

প্রসঙ্গত, করোনা এই ঝুঁকির মাঝে বিদেশ থেকে প্রায় সাড়ে পাচঁ হাজার লোক ফরিদপুরে আসে। এ কারণে ফরিদপুর রয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে। সাধারণ মানুষ প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে করোনা টেস্টের জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন এমপির হস্তক্ষেপে তা নিরসন হওয়ার অগ্রগতিকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি অতিদ্রুত যেন এর কার্যক্রম শুরু করা হয় এমন অভিমত ফরিদপুরবাসীর।