ফরিদপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা কাছেদ আলীর দাফন সম্পন্ন
একুশে জার্নাল ডটকম
জুন ২১ ২০২০, ১২:৩৩
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:
একাত্তর টেলিভিশনের ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি মো. মনিরুল ইসলাম টিটোর পিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কাছেদ আলী (৭১) শনিবার ভোর পৌনে ছয়টায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…. রাজিউন)।
মরহুমের গ্রামের বাড়ি গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে ও বর্তমান ঠিকানা বোয়ালমারী পৌরসদরের আধারকোঠায়। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের উপপরির্দশক ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি চাকুরী থেকে অবসরে যান।
১৯৭১ সালে পাক বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইরে হামলা করলে তিনি সঙ্গীয়দের নিয়ে অস্ত্রসহ পালিয়ে যান। পরে নিজ এলাকা ফরিদপুরে ফিরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
দুপুরে ছোলনা সালামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন শেষে তাকে মাদ্রাসা সংলগ্ন কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। উপ পরিদর্শক সাইফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের চৌকষ দলের রাষ্ট্রিয় সম্মান প্রদর্শন শেণে জানাযায় উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোলারফ হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাব্বির আহমেদ, সাবেক পৌর মেয়র আ. শুকুর শেখ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ, ডেপুটি কমান্ডার কে এম জহুরুল হক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি দুই সন্তান ও এক কন্যা সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি। এরপর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও শুক্রবার দিবাগত মধ্যে রাতে আবার তার শারীরিক অবস্থার অবনিত হয়। এসময় ৯৯৯ লাইনে কল করে এম্ব্যুলেন্স নিয়ে এসে তাকে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতেল পাঠায়। ভোর রাত সোয়া ৫টায় তাকে সেখানে এনে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভোর পৌনে ৬টায় তিনি মারা যান।