মো. সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:

ফরিদপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। সাথে অভিভাবকদের জেল ও জরিমান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ফরিদপুর সদর উপজেলার আওতাধীন মাচ্চর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে স্কুলের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী।

ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৪ আগষ্ট) দিবাগত রাতে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজার নির্দেশনায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ্ মোঃ সজীব এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। এ দিকে বাল্যবিবাহের আয়োজন করার দায়ে বর ও কনের অভিভাবকদের জেল ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে এই এলাকার এক কিশোরের বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে দুপুরে বর ও কনের বাড়িতে যান উপজেলা প্রশাসনের একটি বিশেষ টিম।

এরপরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন। এ সময় বর মোঃ জনি (২৩) কে ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালত। কনের অভিভাবক হিসেবে তার আম্মাকে নগদ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং মুচলেকা নিয়ে মেয়ে পক্ষকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ্ মোঃ সজীব বলেন, সামাজিক এই ব্যাধি নিরোধে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। বাল্যবিয়ে রোধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা সাংবাদিকদের জানান, বাল্যবিয়ে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যারাই এ অপরাধের সাথে যুক্ত থাকবেন তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার করা হবে। বাল্যবিবাহ রোধে ফরিদপুর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সবসময় সচেষ্ট রয়েছে।