প্রিজাইডিং অফিসারের গলায় ছুরি ধরে ব্যালট ছিনতাই
একুশে জার্নাল
ডিসেম্বর ৩০ ২০১৮, ০৯:৫৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদানের ঘটনায় ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মইন উদ্দিন মঈন ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহারসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। সরাইলের একটি কেন্দ্রে আগে থেকে সিল দেওয়া ২০ টি বইয়ের ২ হাজার ভোট বাতিল করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার আক্তার হোসেন জানান, ২০ টি ব্যালট বই রাত ২টার দিকে তার গলায় ছুরি ধরে জিয়াউল হক মৃধার লোকজন ছিনিয়ে নিয়ে সিংহ প্রতীকে সিল দেয়। তবে জিয়াউল হক মৃধা কেন্দ্র দখলের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
নির্বাচনী এলাকার নোয়াগাঁও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শনিবার রাতে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ পেয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ওই কেন্দ্রে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন। তিনি প্রিজাইডং অফিসার আক্তার হোসেনের কক্ষে গিয়ে খোজ খবর জানার সময় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার সমর্থকরা কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবা খানমের নেত্তৃত্বে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান। এসময় দুই পক্ষের মথ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মঈন তার স্ত্রীকে নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় জিয়াউল হক মৃধার লোকজন তার গাড়িতে হামলা করেন। এসময় গাড়িতে থাকা মঈন উদ্দিন মঈন ও তার স্ত্রীসহ তিনজন আহত হন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবা খানম নোয়াগাও পূর্ব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০ টি বইয়ের ২ হাজার ভোট বাতিল করেন। এছাড়াও কালিকচ্ছ এমএ বাশার আইডিয়াল ইন্সটিউিটের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল কাইয়ুমকে মারধর করে জিয়াউল হক মৃধার সমর্থকরা জোর করে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে যায়।স্বতন্ত্র প্রার্থী মইন উদ্দিন মঈন অভিযোগ করেন, এই কেন্দ্রটিসহ সরাইল উপজেলার ২৫টি কেন্দ্র দখল করে রাতের আধারে ব্যালটে সিল দেয়া হয়েছে।