প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বর্গে যাওয়ার কারণ হতে পারে পদ্মাসেতু
একুশে জার্নাল ডটকম
জুন ০৫ ২০২২, ১৬:৩৮
কোন একটি কাজের জন্য যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বর্গে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তা হবে পদ্মাসেতু। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনায় তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার দুর্যোগ নিরসনে আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মান, বিশুদ্ধ সুপেয় পানি নিশ্চিতকরণ, বাঁধ পূণঃনির্মাণ, উন্নত স্যানিটেশন সহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আইলা ও আম্মানের ক্ষত এখনও উপকূলীয় এলাকার মানুষ বয়ে বেড়াচ্ছে। এসব সংকট নিরসনসহ বাজেটে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য উপযোগী বাজেট বরাদ্দ কামনা করেন বক্তারা।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্ৰ ভদ্রের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য এবং পরিবেশ উন্নয়ন কর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
সেমিনারে মূল বক্তব্যে বলা হয়, ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্র্য্য, দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষি প্রভৃতি কারণে উপকূলীয় এলাকার মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ওই এলাকাকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এর জন্য আগামী অর্থ বছরের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।
সেমিনারে উত্থাপিত সুপারিশে আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মাথায় রেখে উপকূলে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণ করতে হবে। জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টারসহ প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। উপকূলীয় মানুষের সুপেয় পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদলে উপকূলে একটি বাড়ি একটি সেল্টার নির্মাণ করতে হবে। নদীভাঙন ও ভূমিক্ষয় ঠেকাতে উপকূলে ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। সুন্দরবনসহ আশপাশের এলাকাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। উপকূলের রক্ষাকবচ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।