প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ বিতরণ না করে মজুদের অভিযোগ
একুশে জার্নাল
জুলাই ১৭ ২০২০, ১৮:৫৫
এম.এস আরমান, নোয়াখালী: নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণ সামগ্রী অসহায় ও দু্স্থঃদের মাঝে বিতরণ না করে সরকারী একটি বাসভবনে মজুদ রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ উপহার সামগ্রীগুলো রমজানে ৫শ প্যাকেট বরাদ্দ আসে। নিয়ম অনুযায়ী লকডাউন চলাকালীন খাদ্য উপহার সামগ্রীগুলো বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ১৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলমান থাকলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদ তা বিতরণ না করে মজুদ রাখেন। মজুদ রাখা খাদ্য উপহারগুলোর মধ্যে ৭টি আইটেমের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রয়েছে। আইটেমগুলো হল: ১০ কেজি মিনিকেট চাল, ১ কেজি মশুর ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি চিড়া, ১ লিটার তেল ও ৫শ গ্রাম নুডলস্। যার প্রতি প্যাকেট নীট ওজন সাড়ে ১৬ কেজি হারে প্রায় ৮টন।
দীর্ঘ সময় লকডাউনের কারণে হাঁট-বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বে-সরকারী শিক্ষক প্রতিষ্ঠান, কিন্ডার গার্টেন, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মচারী সহ নিম্ন আয়ের মানুষ নানামুখী ব্যয় নির্বাহ করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকামে অনিচ্ছুক এক কিন্ডার গার্টেন শিক্ষক জানান, করোনা এ প্রাদুর্ভাবকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে। আয় রোজগার না থাকলেও বাড়ী ভাড়া সহ গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ ঠিকই পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের তালিকা নিলেও এখনও কোন মানবিক সহায়তার সাড়া মিলেনি। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ মজুদকৃত ত্রাণগুলো কর্মহীন সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে বিতরণ করলে কিছুটা হলেও উপকৃত হত।
নিম্ন আয়ের মানুষ যখন ত্রাণের জন্য দিশেহারা, চাহিদা মত খেয়ে না খেয়ে জীবন-যাপন করছে। এমন সময়ে উপজেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ত্রাণ সামগ্রীগুলো মজুদ করে রাখার খবর প্রকাশ পায়। তবে এ খাদ্যসামগ্রী ৫শ প্যাকেট বিতরণ না করে মজুদ রাখার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে সচেতন মহল ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মনে করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মজুদ রাখা ত্রাণের বিষয়ে আমি শুনেছি, তা বিতরণ করার জন্য নির্বাহী অফিসারকে বিতরণ করার জন্য বলা হলেও তিনি কি কারণে তা বিতরণ করেনি তা খতিয়ে দেখা হবে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, এ ত্রাণগুলো আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কিছু বিতরণ করা হয়েছে। বাকীগুলো বিতরণের বিভাজন করা হয়েছে।