পিয়াজের দাম কমায় হতাশায় চাষিরা
একুশে জার্নাল ডটকম
মার্চ ০৪ ২০২০, ১৯:০৮
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি; পিঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ও হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টি হওয়ার পর কমতে শুরু করেছে পিঁয়াজের দাম। এতে, শঙ্কায় পড়েছেন দেশের পিয়াজ চাষিরা।
এছাড়াও গত ৩মার্চ,২০২০ হঠাৎ পিঁয়াজ চাষের এলাকা বিশেষ করে ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয় এতে করে পিঁয়াজের ফসলের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা নিয়ে চাষিরা হতাশায় ভুগছেন তারা সঠিক দাম পাবেন কী না ? কেনোনা যখন পিয়াজ রোপন করা হয় তখন বাজারে পিয়াজের দাম বেশি থাকায় পিয়াজের চারা, গুটি, কামলা ইত্যাদি সব কিছুর দাম ই বেশি ছিল তাই পিয়াজ চাষে খরচও বেশি হয়েছে বলে জানান বালিয়াচরা গ্রামের পিয়াজ চাষি মোঃ আলতাফ মোল্লা।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা তোলার পরপরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়েছেন হিলির আমদানিকারকরা। যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। সামনের মাসেই পুরোদমে বাজারে উঠবে দেশি পিঁয়াজ। বাজারে দাম ভালো পাওয়ার আশা করছিলেন ফরিদপুরের চাষিরা। পিয়াজ চুরি হওয়ার ভয়ে অনেকে রাত জেগে ও পিয়াজের ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন। কিন্তু সেই আশার প্রদীপ নিভু নিভু করছে ভারত পিঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায়। দেশের বিভিন্ন স্থানের মত ফরিদপুরের কৃষকদের মুখেও ভর করেছে অনিশ্চয়তার মেঘ। এরইমধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে পিঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পিঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
এরই মধ্যে হিলি স্থলবন্দরের প্রায় ১০ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২৫ হাজার টন পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। এদিকে, দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে হিলিতে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। পিঁয়াজ চাষিরা তাদের এবারের পিঁয়াজ চাষাবাদে খরচ বেশি হয়েছে বলে পিঁয়াজের সঠিক মূল্য পাওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে ঘরের কৃষানীদের ও চিন্তার শেষ নেই; কেনোনা পিঁয়াজ চাষাবাদের জন্য যে টাকা ধার করা হয়েছিলো তা পিঁয়াজ উঠলে তা বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করার কথা ছিলো !