মোঃ উজ্জ্বল (নিজস্ব) প্রতিনিধি;

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে মরনাস্র করোনা ভাইরাসের যেন আজ গোটা পৃথিবী স্তম্তিত হয়ে গেছে।চার দিকে শুরু আতষ্ক আর মৃত্যুর মিছিল। মহামারী ত্রুমবর্ধমান বিস্তারের মাঝে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে রোগীকে গুলি করে হত্যার অনুমতি দিয়েছে নেপাল। শুক্রবার (১৫ মে) ইংরেজি দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কোভিড – ১৯ মহামারী দেশজুড়ে বাড়তে থাকা প্রত্যেকেই যখন চিন্তিত তখন কর্তৃপক্ষ এটি মোকাবিলায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পথে হাঁটলো।দেশটির পারসা জেলা ত্রুাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার আইসোলেশন ওর্য়াড থেকে কোনও সংক্রমিক রোগী পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গুলি করে হত্যা করতে নিরাপত্তাবাহিনীকে নির্দেশ নিয়েছে।

তবে স্থানীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা সরকারের এই নির্দেশকে বিপজ্জনক উল্লেখ করে এর মাধ্যমে মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পারশা জেলার প্রধান কর্মকর্তা বিষ্ণু কুমার কারকি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মোতায়েনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন,হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা রোগীরা পালানোর চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাকে গুলি করতে পারবে।

জেলার সহকারী প্রধান কর্মকর্তা ললিত কুমার বাসনেত বলেন,হাসপাতাল এবং আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে রোগীরা পলায়নে বাধাদানে নিরাপত্তা কর্মীদের বলপ্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এমনকি প্রয়োজনে তারা গুলিও ছুড়তে পারবে।

বুধবার দেশটির নারায়নি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে দু ‘জন করোনা পজেটিভ রোগী পালিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর নিরাপত্তাবাহিনীকে বলপ্রয়োগের অনুমিত দেয়া হলো। যদি ও পরবর্তীতে ওই দুই রোগীকে আটক করে আবার ও হাসপাতালে বিয়প আসে পুলিশ।

নেপালে এখন পর্যন্ত ২৫০ জন করেনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা যান নি একজনও। তবে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৫ জন।