পাত্রী নির্বাচন ও আদর্শ নারীর গুনাবলী
একুশে জার্নাল ডটকম
আগস্ট ৩১ ২০১৯, ০০:১৮
মাওলানা আমিনুর রশিদ
বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বানচন খুবই গুরুত্ত্বপুর্ণ বিষয়। কারণ স্ত্রীর মাধ্যমেই স্বামী প্রশান্তি লাভ করে থাকে। সুতারাং পাত্রী নির্বাচনে সামান্য অসচেনতা ও অবেহেলা চির অশান্তির দিকে ঠেলে দিকত পারে। তাই হাদীসের আলোকে পাতওী নির্বাচনে লক্ষণীয় গুরুত্ত্বপূর্ণ দিকগুলো জেনে নিই।
১. নেককার ও দ্বীনদার হওয়া। সুত্র: সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-৩৬২২
২ বংশীয় মর্যাদার অধিকারী হওয়া। সুত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস নং- ৫০৮২
৩. কুমারী হওয়া । সুত্র: ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৮৬১
৪. গর্ভ ধারণে সক্ষম হওয়া। সুত্র: সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং- ৩২২৭
৫. স্বামীর ভক্ত ও অনুসারী হওয়া । সুত্র: সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-২০৫০
৬. স্বামীর অনুগত হওয়া । সুত্র: সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং- ৩২৩১
৭. ঘরের তত্ত্বাবধানের যোগ্যতাসমপন্ন হওয়া। সুত্র: সহিহ বুখারী, হাদিস নং- ২৫৫৪
৮. অতিমাত্রায় আত্মসম্মান বোধ না থাকা। সুত্র: সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং- ৩২৩৩
৯. সচ্চরিত্রা হওয়া। সুরা নুর , আয়াত নং ০৩
১০. পছন্দমত সুন্দরের অধিকারী হওয়া। সুত্র: মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং-১৩৪২৯
১১. মেয়ে সাদাসিধে হওয়া,
বরকতময় বিবাহ:
উপরে উল্লেখ হয়েছে যে, বিবাহ হল মহান আল্লাহ প্রদত্ত্ব মহান ইবাদত। সুতারাং সে বিবাহকে বরকত ও রহমতপূর্ণ করার জন্য সকল ক্ষ্রেত্রে হাদিসে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
১. বিবাহে খরচ কম হওয়া।
এব্যাপারে রাসুল স. ইরশাদ করেন, اعظم النكاح بركة ايسرها مؤنة অর্থাৎ- সে সব বিবাহই সর্বাধিক বরকতময়, যে বিবাহে খরচ কম হয়। সুত্র: কাশফুল আসতার, হাদিস নং ১৪১৭।
২.মহর কম হওয়া: এব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন من يمن المرأة تيسير خطبتها و تيسير صداقها وسير رحمها অর্থাৎ- প্রস্তাব দানে সহজ হওয়া, মহর কম হওয়া এবং দ্রুত সন্তান জম্মদানে সক্ষম হওয়া মেয়েদের জন্য সৌভাগ্যবান ও বরকতময় হওয়ার লক্ষণ। সুত্র: হাকেম, হাদিস নং -২৭৩৯
৩. স্বামীর পক্ষ হতে বিবাহ ভোজের আয়োজন করা। এব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুর রহমান বিন আওফের গায়ে খেখলেন হলুদ রঙের চিহ্ন এবং বললেন, ‘এট কি?’ তিনি বলেন, ‘আমি বিবাহ করেছি এক নারীকে এক নওয়াত ওযনের সোনা মোহর দিয়ে।’ তিনি (রাসুল স.) বলেন, ‘আল্লাহ বরকত দান করুন তোমার ।’ “অলীমা ( বিবাহ ভোজ) কর , যদিও তা হয় একটি মেষ(বা বকরী) দিয়ে । সুত্র সহিহ বুখারী ও মুসলিম
বিবাহ যেন অভিশাপে পরণিত না হয়।
বিবাহ মহান আল্লাহ প্রদত্ত্ব মহান এক বড় ইবাদত ও নিয়ামত। যাকে রাসুল স. নিজের সুন্নত এবং তিনি নিজেই বিবাহকে দ্বীনের অর্ধেক বলে ঘোষণা করেছেন। সে বিবাহ যদি আল্লাহ নির্দেশ ও রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তারিকা অনুযায়ী হয়, তাহলে তা হবে মহান আল্লাহর নিয়ামত ও ইবাদত এবং কল্যাণ ও বরকতের মাধ্যম। আর যদি কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত বিবাহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাদ দিয়ে, আল্লাহর আদেশ- নিষেধকে প্রত্যাখান করে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকা ও সাংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে বিজাতীয় রীতি-নীতিকে গ্রহণ করে নষ্টামী-ভষ্টামী, বেহায়াপনা, প্যাকেজের নামে নাজ-গান ও অনুষ্ঠানের নামে যুবক-যুবতী ও নারীপুরুষের অবাদে মিলামিশার আয়োজন করা হয় তখন সেটি আর নিয়ামত ও ইবাদত এর পরিবর্তে অভিশাপ ও কিয়ামতে পরিতি হয়ে যায়। (নাউজু বিল্লাহ)
নিম্মে অভিশাপ্ত ও বরকতহীন বিবাহের কয়েকটি কারণ বর্ণনা করা হল।
১. রূপ ও সম্পদের মোহে বিবাহ করা।
ইসলাম পুরুষকে ধার্মিকতা, সততা ও তাকওয়া ইত্যাদি গুণের দিকটা বিবেচনা করে বিবাহ করতে উদ্বুদ্ধ করে। কেবল নারীর ধন-সম্পদ , সৌন্দর্যও বংশ মর্যাদাকে প্রধান্য দিতে নিষেধ করেছে। এ প্রসঙ্গে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, من تزوج امرأة لعزها لم يزده الله الا ذِلًّا، ومن تزوجها لماله لم يزده الله الا فقرًا،ومن تزوجها لحسنها لم يزده الله الادنائةً،ومن تزوج اموأة لم يرد بها الا ان يغص بصره و يحصن فرجه او يصل رحمه بارك الله له فيها و بارك لها فيها،، অর্থাৎ-যে ব্যাক্তি কোন নারীকে তার মন-মর্যদার জন্য বিবাহ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার লঞ্ছনাকেই বাড়িয়ে দেবেন। আর যে ব্যাক্তি তাকে তার ধন-সম্পদের মোহে বিবাহ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার দরিদ্রতাকে আরো বাড়িয়ে দেবেন। আর যে ব্যাক্তি তাকে তার বংশ মর্যাদার জন্য বিবাহ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার হীনতা ও অসম্মান বাড়িয়ে দেবেন। আর যে ব্যাক্তি কোন নারীকে কেবল দৃষ্টি সংযত, লজ্জাস্ঞানকে হেফাজত অথবা আত্মীয়তর সম্পর্ককে অটুট রাখার জন্য বিবাহ করবে , আল্লাহ তায়ালা উভয়কে উভয়ের জন্য মঙ্গলময়- বরকতময় করে দেবেন। সুত্র: তাবারানী ফিল আওসাত, হাদিস নং-২৩৬৩
২. অলিমা পরিবর্তে বর যাত্রা ভোজের আয়োজন করা।
বিবাহের সময় বা বিবাহোত্তর ভোজের আয়োজন করা স্বামীর দায়িত্ব এবং সুন্নত ও বরকতময় বিষয় । তার বিপরীতে উল্টা কণের পক্ষ থেকে ভোজের আয়োজন করা সেটি সুন্নত বর্জিত ও বরকতহীন কাজ। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে বরযাত্রী নির্ধারণ ও খাবারের তালিকা নিয়ে অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি করা, কণের অভিভাবক কে চাপ প্রয়োগ করে বা মানসিক চাপে রেখে ইচ্ছামত খাবারের তালিকা আদায় করে নেয়াও একটি গর্হিত কাজ , যা কোন কোন ক্ষেত্রে হারামে পরিণত হয়ে যায়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন
ألا ولا يحل لامرئ من مال أخيه شيء إلا بطيب نفس منه
সাবধান! কারো জন্য তার ভাইয়ের কিছুমাত্র সম্পদও বৈধ নয়, যদি তার স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি না থাকে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৪৮৮; সুনানে দারাকুতনী, হাদীস : ২৮৮৩; শুআবুল ঈমান বায়হাকী, হাদীস : ৫৪৯২
অর্থাৎ কেউ কিছু দিলে বা পানাহার করালেই তা ভোগ করা হালাল হয় না, যে পর্যন্ত না খুশি মনে দেয়। পুত্র-কন্যাও এ বিধানের বাইরে নয়। সুতরাং পিতা যদি বাধ্য হয়ে নিজের কন্যার বর পক্ষকে কোনো কিছু ভোজের ব্যবস্থা করে তবে তা গ্রহণ করা তার জন্যও বৈধ নয়। হ্যাঁ যদি কণের পিতা নিজের পক্ষ থেকে আত্বীয়তার বন্ধন স্বরূপ বর পক্ষকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভেজের আয়োজন করে তাতে কোন সমস্যা নেই বরং সাওয়াবের কাজ হবে।
৩. মহর আদায় না করে যৌতুক নেওয়া। সামাজিক প্রথা ও প্রচলনের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বস্তু হল যৌতুক। যা সমাজের জন্য ক্যান্সার ও সামাজিক শৃঙ্খলার মৃত্যুদূত ও হিন্দু-সমাজের আশীর্বাদ।
যৌতুকের পরিচয়:বিয়ের সময় বা বিয়ের আগে-পরে যে কোনো সময় কনে বা কনেপক্ষের নিকট থেকে বর বা বরপক্ষের লোকেরা যে সম্পদ বা সেবা গ্রহণ করে কিংবা সামাজিক প্রথার কারণে তাদেরকে দেওয়া হয়, তদ্রূপ কনে বা কনেপক্ষের লোকেরা মোহর ও ভরণ-পোষণের অধিক যা কিছু উসূল করে বা সামাজিক প্রথার কারণে তাদেরকে দেওয়া হয় এই সবই যৌতুক । যা শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরুপে হারাম। এবং অনেক হারামের সমষ্টি।
আরো পড়ুন : বিবাহের গুরুত্ব ও ফযিলত
যৌতুক হল মুশরিক সমাজের রেওয়াজ,অনেক বড় জুলুমের কাজ,পরস্ব হরণ, ডাকাতী ও লুটতারজীর বটে, লালসা হিংস্রতা ও চারিত্রিক হীনতার প্রতিক, এমন একটি অপরাধ যা অসংখ্য অপরাধের দার উম্মুক্ত করে দেয়। যৌতুকের লেনদেন এত জঘণ্য অপরাধ যে, তা শুধু হারাম বা কবীরা গুনাহ নয়, এমন অনেকগুলো হারাম ও কবীরা গুনাহর সমষ্টি, যার কোনো একটিই যৌতুকের জঘণ্যতা ও অবৈধতার জন্য যথেষ্ট ছিল ।
এব্যাপার কুরআন মজীদে একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
لا تأكلوا اموالكم بينكم بالباطل
তোমরা বাতিল উপায়ে একে অন্যের সম্পদ গ্রাস করো না।-সূরা বাকারা : ১৮৮; সূরা নিসা : ২৯
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
لا يأخذن أحدكم متاع صاحبه لعبا جادا وإذا أخذ أحدكم عصا أخيه فليرددها عليه
অর্থাৎ কেউ যেন তার ভাইয়ের জিনিস উঠিয়ে না নেয়; না ইচ্ছা করে, না ঠাট্টাচ্ছলে। একটি ছড়িও যদি কেউ তুলে নেয় তা যেন অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৭৯৪০; ১৭৯৪১; ১৭৯৪২; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৫০০৩; জামে তিরমিযী, হাদীস : ২১৬০)
যারা যৌতুক দাবি করে বা গ্রহণ করে তাদের উচিত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই বাণী স্মরণ রাখা-
لا يدخل الجنة لحم نبت من سحت النار أولى به
ঐ দেহ বেহেশতে যাবে না, যা হারাম (গিযা) থেকে উৎপন্ন হয়েছে। দোযখের আগুনই তার অধিক উপযোগী।-সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ১৭২৩, ৪৫১৪; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ২০
৪.আধুনিকতার নামে গান-বাজনা ও প্যাকেজ অনুষ্টানের আয়োজন করা
বিবাহের পূর্ব রাতে আধুনিকতার নামে মেহেদী অনুষ্টান ও প্যাকেজ অনুষ্ঠানের নামে বিজাতীয় হিন্দুয়ানী সংস্কৃতির আয়োজন, নারী- পুরুষের অবাধ মিলামিশা,যুবক-যুবতীদের উলঙ্পনাও বেহেয়াপনা, নাচা-নাছি, লাপা -লাপি, গান- বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র বাজনো যাতে সমস্ত এলাকার মানুষ, পশু-পাখীর ঘুম হারাম হয়ে যায় এসব নির্লজ্জ কার্যক্রম আল্লাহর গজব, ভুমিকম্প,ভুমিধ্বস মুখামুখি করে দেয়। মুলত যা শয়তান ও অমুসলিমদের সভ্যতা। ইসলামের দৃষ্টিতে এসব কার্যক্রম হারামও বটে।
ইসলাম শালিনতা ও বৈধ পন্থায় আনন্দ উদযাপন এবং সভ্য ও বৈধ সাংস্কৃত পালন করতে নিষেধ করেনা তবে বিজাতীয় সাংস্কৃতি লালন ও লির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা এবং মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোন কাজকে সমর্থন করেনা। বিবাহ যেহেতু একটি মহান ইবাদত, সে ইবাদতে যখন বর্ণিত অপসাংস্কৃত লালন পালন করা হয় তখন সে বিবাহ লানত আর কিয়ামতে পরিণত হয়।
এব্যাপারে হাদিস শরীফে রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ করেন..
عن ابي امامه رضي الله تعالى عنه قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ان الله تعالى بعثني رحمه للعالمين و هدى للعالمين وامرني ربي عز وجل بما بحقق المعازف والمزامير والا ثان و الصلب و امر الجاهليه
হযরত আবু মালিক আল আশআরী রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ আমার উম্মতের কিছু মানুষ এমন হবে যে, তারা মদ্যপান করবে অথচ এর ভিন্ন নাম ব্যবহার করবে, তাদের মাথার উপর গান বাজনা বাজানো হবে ও গায়িকাদের দ্বারা গান করানো হবে। আল্লাহ তাআলা তাদের সহ জমিন জমিন দিয়ে দিবেন তাদের মধ্য থেকে অনেক কে বানর ও শুকরে পরিণত করে দিবেন।
عن جابر رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الغناء ينبت النفاق كما ينبت الماء الزرع
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন গান মানুষের অন্তরের বিতর মোনাফেকি উৎপাদন করে যেমন পানি শস্য উৎপাদন করে থাকে।
সূত্রঃ সুনানে বায়হাকী ও মিশকাত।
قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يخسف قوم من هذه الامه في اخر الزمان لد قردة وحنا زير قالوا يا رسول الله اليس يشهدون ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله قال بلى يصومون ويحجون و يصلون قيل ما بالهم قال اتخذوا المعازف ه والقينات
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ শেষ যুগে এই উম্মতের কিছু মানুষকে বানর ও শুকর এর আকৃততে পরিণত করা হবে। সাহাবিগণ বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, তারা কি এই সাক্ষ্য দিবে না যে আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসুল? রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হাঁ অবশ্যই বরং তারা রোজা রাখবে, হজ্ব করবে এবং নামাজও পড়বে। জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে কেন তাদের এই পরিণতি ঘটবে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বললেন, কারণ তারা বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকাদের কে অবলম্বন করেছিল।
সূত্রঃহাদিস ও সামাজিক বিজ্ঞান পৃ-২১৫, ইফা।
আল্লাহ আমাদের সমাজকে পবিত্র করুন, সকল কুফরী ও শিরকী কর্মকান্ড থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন এবং একমাত্র তাঁরই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এই সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়তে হবে।
লেখক পরিচিতঃ খতিব বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, সভাপতি,লংগদু উপজেলা ইমাম সমিতি, রাঙ্গামাটি।



