পাগলা মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল ১২ বস্তা টাকা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ০৬ ২০২১, ১৪:৩০

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক খোলা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি সিন্দুক খোলা হয়। সেখান থেকে ১২ বস্তা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে। বস্তা থেকে টাকা বের করে এখন গণনা চলছে।

গণনা কাজে স্থানীয় একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও মসজিদ ক্যাম্পাস মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। সারাদিন গণনা শেষে বিকেল নাগাদ টাকার পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মোস্তফা।

পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করে থাকেন। নগদ টাকা ছাড়াও পাওয়া যায়, চাল, ডাল, গবাদিপশু আর হাঁস-মুরগি। এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে জমা করা হয় মসজিদের ব্যাংক একাউন্টে।

মসজিদের আয় থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। সাধারণত তিন মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় পর দানসিন্দুক খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সাথে সাথে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন।

দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদটিকে ঘিরে চলছে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।