পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা
একুশে জার্নাল ডটকম
অক্টোবর ০১ ২০২২, ২১:০০
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের এবার দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া ১৫ বস্তা টাকা গণনা শেষে রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে। মসজিদের আটটি দানবাক্স ৩ মাস ১ দিন পর শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় খোলা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ, সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এর আগে সর্বশেষ গত ২ জুলাই পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। সে সময়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। তবে এবার ৩ মাস ১ দিন পরে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে দানের টাকাগুলো প্রথমে ১৫টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণনার জন্য। সন্ধ্যা ৬টার দিকে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়াও করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছে এ দানের টাকা থেকে।
মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান জানান, এই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।