পাকিস্তানে পাঁচ তারকা হোটেলে বন্দুকধারীদের হামলা : নিহত অন্তত ১

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ১২ ২০১৯, ০০:৩৬

আবির আবরার:
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বন্দুকধারীরা একটি পাঁচ তারকা হোটেলে হামলা চালিয়ে অন্তত ১ জনকে হত্যা করেছে।

হামলার পর বন্দর শহর গওয়াদরের পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলের অধিকাংশ অতিথিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন থেকে চারজন বন্দুকধারী হঠাৎ করে পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। গদার স্টেশন হাউস অফিসার আসলাম বাঙ্গুলজাইয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে এই হামলার খবর পাওয়া যায়। এই পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, ওই হোটেলে এই মুহূর্তে কোনো বিদেশি নাগরিক নেই।

আসলাম বাঙ্গুলজাই বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য, অ্যান্টি-টেররিজম ফোর্স ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত আছেন। তারা পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। পুরো হোটেল ঘিরে রাখা হয়েছে এবং হোটেলের আশপাশে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে অভিযানও শুরু করা হয়েছে।

এই বন্দরটিতে চীনের মাল্টি বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের কাজ চলছে।

বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি হামলার দায় স্বীকার করেছে। চীনা ও অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

চীনা বিনিয়োগে স্থানীয়দের খুব একটা লাভ হবে না, এমন অভিযোগ করে বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা চীনা বিনিয়োগের বিরোধিতা করছে বলে বিবিসির প্রতিনিধি জানিয়েছেন।

শনিবার স্থানীয় সময় ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হোটেলটিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। তিন বন্দুকধারীর হামলায় এক নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হয় বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বন্দুকধারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই চলছে।

হামলার সময় কতো জন লোক হোটেলটিতে ছিলেন তা পরিষ্কার হয়নি। তবে অধিকাংশ অতিথিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কর্মকর্তারা।

মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে একই এলাকায় বন্দুকধারীরা সামরিক বাহিনীর ১১ সদস্যসহ ১৪ জনকে হত্যা করেছিল। পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র ও অনুন্নত এই প্রদেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহ চলছে।

পাকিস্তান তালেবান, দ্য বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি, সুন্নি মুসলিম সশস্ত্রগোষ্ঠী লস্কর-ই-জাঙ্গভিসহ বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই এলাকায় তৎপর রয়েছে।