পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ, ঘোষণা বিরোধীদের
একুশে জার্নাল ডটকম
এপ্রিল ০৩ ২০২২, ২২:৪১
পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন অশান্ত হয়ে উঠেছে। ববিবার (৩ এপ্রিল) নানা ঘটনার পর বিরোধীদের নেতারা ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরির অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করার পাশাপাশি শাহবাজ শরিফকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একতরফা ঘোষণা দিয়েছেন।
শাহবাজ শরিফ সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। ‘নতুন প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে আইনসভায় এরই মধ্যে ভাষণও দিয়েছেন শাহবাজ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হটাতে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার সুরি নাকচ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ
এদিকে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে একটি দাপ্তরিক নোটিশ জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, পিএমএল-এনের নির্বাসিত প্রতিষ্ঠাতা নওয়াজ শরিফ ঠিক এটাই চেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সুপারিশে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। বিরোধীরা আইনসভার অধিবেশন পুনরায় শুরু করেছেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা শেরি রেহমান একটি ভিডিও টুইট করেছেন। তাতে তিনি দাবি করেছেন, ১৯৭ জন সদস্য পিএমএল-এনের সাংসদ আয়াজ সাদিককে নতুন স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।
সাদিক স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব চালু করেন। পার্লামেন্টে ইমরান খানের শাসক জোটের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে রায় দিয়েছেন বিরোধীদলীয় সাংসদেরা।
২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি হওয়ার পর পার্লামেন্টের অধিবেশন পুনরায় আহ্বান করার ক্ষেত্রে এটি একটি প্রতিবাদী পদক্ষেপ বিরোধীদের। নিয়মানুসারে, স্থগিত হওয়া অধিবেশন কেবল প্রেসিডেন্ট বা স্পিকার ডাকতে পারেন।
দিনের শুরুতে ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ করে বলেন, এটি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫-এর বিরোধী। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫-এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক দায়িত্ব রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করা। সংবিধান ও আইনের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের জন্য অলঙ্ঘনীয়ভাবে বাধ্যতামূলক; তিনি যেখানেই থাকুন এবং পাকিস্তানে অবস্থান করার সময় প্রত্যেকের জন্যই তা প্রযোজ্য।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জাতীয় পরিষদে ঘটা ঘটনাগুলোতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার প্রধান মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে জানায়, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই।