নোয়াখালীতে মধ্যযুগীয় কায়দায় ধর্ষণের ঘটনায় আটক ২

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ০৫ ২০২০, ১২:১১

এম.এস আরমান,নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণ করে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে স্থানীয় বখাটে একদল যুবক,ধর্ষণ শেষে নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে ছেড়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

রোববার দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ঐ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ পেলে ইতিমধ্যে তা ভাইরাল হয়ে গেলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের।

ঘটনার পর থেকে গত ৩২ দিন অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা গণধর্ষিতা গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখলে পুরো ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে। বর্তমানে নির্যাতিতা ওই পরিবারের বসত ঘরে তালা ঝুলছে, ভুক্তভোগি পরিবার নিখোঁজ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ রোববার বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করে। আটককৃত, আব্দুর রহীম (২৭) একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাড়িধন বাড়ির বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মাসের (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে গণধর্ষিতার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই ঘটনার ৩২ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগি পরিবার এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।

বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হারুন উর রশীদ জানান, পুলিশ বতর্মানে ঘটনাস্থলে রয়েছে।

এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের ঘরে তালা ঝুলছে, ওই গৃহবধূকে তার বসত ঘরে পাওয়া যায়নি। ভিকটিমকে পাওয়া গেলে জানা যাবে এটি গণধর্ষণ না নির্যাতনের ঘটনা।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে উদ্ধারে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ নেমেছে।