নোবিপ্রবি নীলদলের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
একুশে জার্নাল
মার্চ ২০ ২০২০, ২৩:১২

মোঃ আজগর হোসাইন, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক সংগঠন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ‘নীলদল’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যতিক্রমী ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ’ পালন করেছে।
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে দেখা দেয়ায় সরকার ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জন্মশতবর্ষ’ অনুষ্ঠান সংকুচিত করে গণ জমায়েত বন্ধ করা কিংবা এড়িয়ে চলার নির্দেশনা আসে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নীল দলের কার্যকরী পরিষদ সকলের অত্যন্ত সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ সাম্প্রতিক বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গণ সচেতনতা মূলক কর্মকান্ড করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে গণসচেতনতা কর্মকাণ্ড করার বিষয়ে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান বিপ্লব মল্লিক বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিসেবে যেকোন ধরনের অনুষ্ঠান করার ক্ষমতা রাখি। আমাদের পরিকল্পনা কমিটির সভায় ১৭ ই মার্চ ঘিরে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আমাদের ব্যতিক্রমী আয়োজনের কারণ হলো নোবিপ্রবিতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের প্রতিদিনের আনাগোনায় মুখরিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় বেশ কিছু করণীয় নির্দেশনা মেনে চলা অতীব জরুরী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সাম্প্রতিক করোনা মহামারী নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি আমরা প্রধানতম দায়িত্ব বলে মনে করেছি।
নীলদলের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড.ফিরোজ আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও মহামারী নিয়ে সংকটকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সরকারের নির্দেশনা মতো জন্মশত বার্ষিকীর প্রারম্ভিক অনুষ্ঠান করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন । আমি আশাবাদী যে সবার সচেতন হলে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সস্তা সুনাম কুড়ানোর কাজ অনেকদিন ধরে করে চলেছি। প্রকৃত বঙ্গবন্ধু গবেষণার ধারেকাছেও আমরা আজও যেতে পারিনি। পুঁজিবাদ না সাম্যবাদ কিংবা গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের চলমান লাগামহীন যুদ্ধে প্রকৃত গবেষণার মাধ্যমে মুজিববাদের অভিনব পন্থা বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বঞ্চিত জনগোষ্ঠির মুক্তির সনদ হতে পারে। দেশ স্বাধীনের পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকার পরিচালনার তথ্যভাণ্ডার বিশ্লেষণ করলে মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কর্মকাণ্ডের সাথে বঙ্গবন্ধুর দার্শনিক চিন্তা চেতনার আভাস মিলবে। আর এ কারণেই তিনি বিশ্ব নেতা এবং মহামানব। সুতরাং বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিস্তর আলোচনার সুযোগ আসবে। আপাতত বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদেরকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হবে।’ তিনি ফেস্টুন তৈরি ও প্রচারণার সাথে জড়িত কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মেহেদি হাসান রুবেল, বাংলা বিভাগের প্রভাষক সাহানা রহমান ও পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক ইফতেখার পারভেজ সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।