নির্বাচনের জন্য কেনা হচ্ছে দেড় লাখ ইভিএম
একুশে জার্নাল
সেপ্টেম্বর ১৭ ২০১৮, ২৩:৪৯
একুশে জার্নাল ডেস্ক: চলতি অর্থ বছরে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে একসাথে নয়, তিন ধাপে কেনা হবে। প্রতিটি ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে দুটি করে ব্যালট ইউনিট কেনার প্রস্তাব রয়েছে। ইভিএম কেনার প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করে সোমবার পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে একটি ব্যালট ইউনিটের প্রয়োজন হবে। আর উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয় একটি কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে তিনটি ব্যালট ইউনিটের প্রয়োজন হবে। কেননা এসব নির্বাচনে একই সঙ্গে চেয়ারম্যান বা মেয়র পদ ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণের বিধান রয়েছে।
এদিকে অচিরেই দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা যায়। তবে (ইভিএম) ওয়ারেন্টির মেয়াদ কতদিন হবে, তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ইসি থেকে পাঠানো ডিপিপিতে এই মেশিনের ওয়ারেন্টি পরে নির্ধারণ করা হবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। যদিও সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত ইভিএম কেনা সংক্রান্ত প্রকল্পের মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছিল, এ মেশিনের ওয়ারেন্টি ১০ বছর পাওয়া যাবে। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তেও ১০ বছর ওয়ারেন্টির বিষয়টি ডিপিপিতে রাখার ব্যাপারটি উল্লেখ করা হয়েছিল। এমন অবস্থায় আজ অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ প্রকল্পটি উঠতে পারে। পরিকল্পনা কমিশন ও ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যদিও শুরু থেকেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যাবহারের কঠোর বিরোধিতা করে আসছেন অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
তাদের যুক্তি, ইভিএম এর মাধ্যমে সরকার এবার আরো নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোট কারচুপি করার লক্ষেই ইভিএমের আশ্রয় নিচ্ছে। তবে ইভিএম বিতর্ককে পাত্তা না দিয়েই নির্বাচন কমিশন ইভিএম কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন দেড় লাখ ইভিএম ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কিনতে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ৫০ হাজার করে তিন ধাপে কেনা হবে এসব ইভিএম। ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু করেন তৎকালীন ড. শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তবে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন এ মেশিন ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। বর্তমান সিইসি নূরুল হুদার কমিশন পুনরায় নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়। এসব মেশিনের গুণগত ও কারিগরি দিক উন্নয়ন করা হয়। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এ ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি সংযোজন করে সংশোধনীও আনা হয়েছে।