নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেই বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি -শেখ হাসিনা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ০১ ২০১৯, ০৩:১১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সঠিক প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ার কারণেই বিএনপি এবং তাদের ঐক্যফ্রন্ট জোট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র সাতটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্যই জনগণ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে জনগণ বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই বিজয় দেশের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখার সুযোগ। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জনগণ ভাল ছিল বিধায়ই তারা আবার নৌকায় ভোট দিয়েছে। জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে সেজন্য কাজ করেছেন বলেও জানান তিনি।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটে কোনো কারচুপি হয়নি। কেউই যদি প্রমাণ করতে পারে কারচুপি হয়েছে। তাহলে পুনরায় ভোট হতে তো আমাদের আপত্তি নেই।’

ভোটের সময় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অগণিত মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। আমার তো মনে হয় অনেক ব্যবহার করলে ইন্টারনেট এমনিতেই স্লো হয়ে যায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের জন্য রাজনীতি করলে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। আজকের পরাজিতরা যদি জনগণের জন্য রাজনীতি করে তাহলে তারাও আগামীতে ক্ষমতায় যেতে পারে।’

বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ বিষয়ে আল জাজিরার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেখুন। নির্বাচনের পরে কয় ঘণ্টা পার হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা কিন্তু এখনও প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরূপ কোনো আচরণ করিনি। অথচ ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত আমাদের কর্মীদের মেরেছিল। নারীদের ধর্ষণ করেছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। আমাদের অনেক খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা কিন্তু তেমনটা করিনি। আমাদের নেতাকর্মীরা বিরোধী দলকে কোনো হয়রানি করেনি।’