নারায়ণগঞ্জে করোনার পিসিআর ল্যাব না করায় প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ: দ্রুত স্থাপনের নির্দেশ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ১৬ ২০২০, ১৪:৫২

১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া ভিডিও কনফারেন্সে করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঢাকা বিভাগের নয় জেলার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা বিভাগের নয়টি জেলা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ অংশগ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে কনফারেন্সে যুক্ত হন।

এ কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য আলোচনার মধ্যে খুবই গুরুত্ব সহকারে নারায়ণগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপন না করা ও মানসম্মত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য,এ কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন খানপুরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের (বর্তমানে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র) আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) সামছুদ্দোহা সঞ্চয়।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নারায়ণগঞ্জের করোনার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সহ ১৬ জন স্বাস্থ্য কর্মী ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকদের নেই এন-৯৫ মাস্ক। তারা ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাই দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। খানপুর হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ঘোষণা করা হলেও তাতে নেই করোনার পিসিআর টেস্ট ল্যাব। তাই এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ তাহলে পুরোপুরি ঢাকার উপর নির্ভর করে চলছে!!
সাথে সাথেই প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে, কেন নারায়ণগঞ্জে এসকল ব্যবস্থা এতদিন গ্রহণ করা হয়নি? তা জানতে চান। এবং অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে রমজানের তারাবীহ নামায ঘরেই আদায় করার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন,যদি কারো করোনা উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত তার টেস্টের ব্যবস্থা করেন।তার সাথে কোন অমানবিক আচরণ করা যাবে না। ত্রাণ বিতরণে কোথাও অনিয়ম দেখা দিলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। অর্থনৈতিক মন্দার কথা না ভেবে মানুষ রক্ষার কথা ভাবতে হবে। করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে মিল কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এবং কৃষি কর্মকাণ্ড ধারাবাহিক চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।