১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সোনারগাঁ উপজেলার একাধিক স্হানে লকডাউন ভঙ্গ করে ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। এসময় তারা প্রায় দেড় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে।

আজ সকালে ফতুল্লা থানার পোস্ট অফিস চত্বরে হামিদা ফ্যাশন লিমিটেডের শতাধিক পোশাক শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা ইটপাটকেল ও ভাঙ্গা পিলার রাস্তায় জড়ো করে ব্যাড়িকেড সৃষ্টি করে।

হামিদা ফ্যাশনের শ্রমিকরা জানান, এই পোশাক কারখানা শতভাগ রফতানিমুখী,এটি একজন প্রতিমন্ত্রীর মালিকানায় পরিচালিত। এই কারখানায় তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বেতন পরিশোধের দাবি জানায়।

একই সময় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশ লাইন এলাকায় টি এস স্পোর্টস নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। তারা জানান,গত ৩০ মার্চ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের ইস্যুতে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। তখন তাদের নোটিশ বোর্ডে সাঁটানো নোটিশে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেয়া হয়। এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের কারখানায় আসতে নিষেধ করা হয়। তাই তারা বকেয়া বেতন পাওয়ার অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। চলতি মাস সহ তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও লে-অফ উঠিয়ে নেয়ার দাবি জানান।

অপরদিকে একই সময় সোনারগাঁওয়ের টিপরদী/ ত্রিপরদী এলাকায় ইউসান নীট কম্পোজিট লিমিটেড এর শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। তারা জানান, তাদের সাত মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন।

পরে প্রতিটি অবরোধ স্থলে পুলিশের হস্তক্ষেপে ও মালিক পক্ষের আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অবরোধ তুলে বাড়ি ফিরে যান।

প্রতিটি পয়েন্টের শ্রমিকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় তারা বর্তমান সঙ্কটের মধ্যে অর্থহীন অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। তবে এ ব্যাপারে শ্রমিকদের সংগঠন ট্রেড ইউনিয়নের কোন কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।