নানা নাটকীয়তার পর ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট
একুশে জার্নাল ডটকম
এপ্রিল ১০ ২০২২, ০১:৫০
দিনভর নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় শনিবার (৯ এপ্রিল) রাত একটার পর এই ভোট শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলছিল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে স্থানীয় সময় রাত ১২টার আগেই শুরু হয় ভোটাভুটি। তবে শুরু হয়েই চার মিনিটের জন্য স্থগিত করা হয় অধিবেশনের অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া। পরে তা আবার শুরু হয়।
এদিকে অনাস্থা ভোটের আগে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি পদত্যাগ করেছেন। নতুন স্পিকারের পদে বসেছেন সরদার আয়াজ সাদিক। তার সভাপতিত্বেই ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভোট শুরুর আগেই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ছেড়ে বেরিয়ে যান ক্ষমতাসীন তেহরিক-এ-ইনসাফ দলের সাংসদরা। ফলে সরকারি দলের কোনো সদস্য এই মুহূর্তে পার্লামেন্টে নেই।
এর আগে সকালে শুরু হওয়া অধিবেশনটি তুমুল বিতর্কের মধ্যে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। এরপর প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর পুনরায় অধিবেশনে বসেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।
পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ দীর্ঘ বক্তব্য দিয়ে অধিবেশন ঝুলিয়ে দিচ্ছেন ইমরান খানের দলের সাংসদরা। তাদের দাবি ইচ্ছাকৃত বিলম্বের মাধ্যমে অভিশংসন ঠেকাতে চাইছেন ইমরান খান।
আর ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’সহ একাধিক বিষয়ে সংসদে আলোচনার ঝড় তুলেন ইমরানের দল পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। কয়েক দফা স্থগিত শেষে ৩ এপ্রিল এ বিষয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে গত ৭ এপ্রিল পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের সিদ্ধান্তকে অবৈধ হিসেবে রায় দেয়। সেই সঙ্গে ৯ এপ্রিল অনাস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেয়।
৩৪২ সদস্যের পাক জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ইমরান খানের ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন। তার দল পিটিআইয়ের সদস্য সংখ্যা ১৫৫।