নাগরিক আলেম সমাজের ‘গণধিক্কার’ কর্মসূচিতে বক্তারা: জনতার বুকে দ্রোহ ও ধিক্কার জন্ম নিয়েছে
একুশে জার্নাল ডটকম
আগস্ট ০৩ ২০২৪, ২০:২১
‘দ্রোহে-ক্ষোভে কাঁপছে দেশ/ রক্তাক্ত বাংলাদেশ, দমন-পীড়ন, অত্যাচার/ ধিক্কার ধিক্কার‘ এমনসব স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিলো গোধূলি সন্ধ্যা। জুলাই গণহত্যা, ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি, গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে নাগরিক আলেমসমাজ-এর গণধিক্কার কর্মসূচি অংশ নেওয়া গণমানুষের স্লোগান ছিলো এগুলো।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত কর্মূচিতে সর্বস্তরের আলেম ও ছাত্রজনতা অংশ নেন।
সমন্বয়ক মুতিউল মুরসালিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক আলেম সমাজের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক নোমান বিন আরমান, সমন্বয়ক মাওলানা হাসান ফয়েজ, লেখক হক নাওয়াজ, লেখক হুসাইন ফাহিম, মাওলানা আদিব আহমদ, লেখক কবির আহমদ খান ছাত্রনেতা আবু তাহের।
এছাড়াও কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর, মাওলানা আলাউদ্দিন, মাওলানা আসলাম ফুয়াদ, মিনহাজুস সিরাজ, মাওলানা আমজাদ আহমদ, মাওলানা আরিফুর রশিদ, সংগঠক যুবায়ের মুহাম্মদ, ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ নোমান, আরশাদ শামসী, নুর উদ্দিন নোমান, যায়েদ রাহমান, মুজিবুর রহমান খান প্রমূখ।
গণধিক্কারে প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক নোমান বিন আরমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। ঘরের মধ্যে থাকা নিষ্পাপ শিশুদের জীবন গিয়েছে সরকারি বাহিনীর বুলেটে। ঘর থেকে রাজপথ কোথাও নিরাপদ নয় মানুষ। এরপরও প্রধানমন্ত্রী বলেন তাঁর দোষটা কী! এতগুলো মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীন কথাবার্তার কারণে তাঁর শাসনের প্রতি জনগণের বুকে দ্রোহ আর ধিক্কার জন্ম নিয়েছে। অনিরাপদ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার দম্ভ ও অবহেলায় পরিস্থিতি সামলানোর সকল সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এখন গণহত্যার দায় অবিলম্ব পদত্যাগ করে জনতার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
কর্মসূচি থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ন্যায্য সকল দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে সকল হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা ও আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে নাগরিক আলেমসমাজ।