মেঘনা নদী ভাঙ্গন ও অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে অভিযান

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ১০ ২০২০, ০৬:০৪

ইয়ামিন কাদের নিলয়, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি

শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নে মেঘনা নদী ভাঙ্গন রোধ নদীর দুই তীরে অবৈধ দখল সহ অবৈধ ড্রেজার দ্বারা অবৈধভাবে চর কেটে বালু উত্তোলন বন্ধে ৭ই অক্টোবর রোজ বুধবার সকাল ৯ ঘটিকায় স্পিডবোট যোগে গোসাইরহাট ও ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদী থেকে কোটি কোটি টাকার এই বালু বাণিজ্য চলছে। এই বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে এখন মেঘনা নদীর পাড়ের বসতভিটা, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শত শত বিঘা কৃষিজমি।সরকারিভাবে এসব বালু উত্তোলন নিষেধ থাকলেও বা বালু উত্তোলনের কোনো ইজারা না থাকলেও প্রভাবশালী মহল সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে এই বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।গোপন সংবাদের ভিওিতে
তাৎক্ষনিকভাবে স্পিডবোট যোগে নদী ভাঙ্গন রোধ,নদীর দুই তীরে অবৈধ দখল সহ অবৈধ ড্রেজার দ্বারা অবৈধভাবে চর কেটে বালু উত্তোলন বন্ধে গোসাইরহাট ও ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি))ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যের টিম সহ এ অভিযান পরিচালনা।মেঘনা নদীর পাড়ের চরের ভেতরে এ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে চর কেটে বালু উত্তোলনের ১টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়।

গোসাইরহাট ও ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নদীর তীর এবং চরের পাড় কেটে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের ব্যক্তিরা এসে মেঘনা নদীর চর কেটে বালু ও মাটি উত্তোলন করছিল।একদল দুর্নীতিবাজ চক্র অর্থের বিনিময়ে নদী, ফসলি জমি এবং পরিবেশ ধ্বংস করছিল।এ অপরাধের বলি হচ্ছে সাধারণ জনগণ, সর্বনাশ হচ্ছে কৃষি জমির,এতে পাল্টে যাচ্ছে নদীর গতিপথ। যেহেতু পরিবেশ বিধ্বংসী এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দুর্নীতি জড়িত,তাই আমরা নদীর তীর এবং চরের পাড় কেটে বালু উত্তোলন বন্ধে আরো কঠোর অবস্থান নিবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিবেশ বিধ্বংসী অপরাধে কারও নিশ্চুপ থাকাও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।অভিযান পরিচালনার সময় সংশ্লিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে তারা পালিয়ে গেছে।আগামীতেও সকল ধরনের জনদুর্ভোগ ভূমি দস্যুদের ভূমি দখল নদী দখল খাল দখল সুবিধাভোগী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।