ধর্ষণের শিকার শিশুকে বিয়ের জন্য তুলে নিয়ে গেছে অভিযুক্তের পরিবার

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ২১ ২০২০, ১৭:৫৬

রোকন, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুঁনাইগাছ ইউনিয়নে বাবা ও দাদিকে মারধর করে ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রাণনাশের হুমকিতে অসহায় হয়ে পড়েছে শিশু শিক্ষার্থীর পরিবার। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিকালে গুঁনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শিশুটিকে অভিযুক্ত ছেলের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিশুটির বাবা।

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনা অবগত রয়েছেন জানিয়ে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জানাবে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (৯টা পর্যন্ত) শিশুটি ছেলের বাড়িতে আটকা রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার শিকার শিশু শিক্ষার্থীর পিতা মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, তার পাশের বাড়ির বাসিন্দা নুর আলমের দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে সোহেল রানা বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্তের নামে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সোহেল রানা গত রাতে তার শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়ের দাদি বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় সোহেল রানা। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে সোহেল রানা তার বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা করে। তারা মেয়ের বাবা ও দাদিকে মারধর করে। পরে তারা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।

মেয়েটির বাবা বলেন, ‘যাওয়ার সময় সোহেল রানা বলে, আজকেই বিয়া করবো, দেখি কে ঠেকায়।’ নিজের মেয়ে এখনও বিয়ে বা সংসার করার উপযুক্ত হয়নি জানিয়ে অসহায় এই বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমি ফেরত চাই। সোহেল রানা ও তার পরিবারের লোকজনদের বিচার চাই।’

এদিকে মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয় (নম্বর ২২, ১১ জানুয়ারি ২০২০)। ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এই সোহেল রানা।

স্থানীয়রা জানায়, মামলা থেকে রেহাই পেতে সোহেল রানার পরিবার এই অপকৌশল নিয়েছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান জানান, উলিপুর থানার ওসিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।