ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবী: ধর্ষণের জন্য সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দুষলেন বক্তারা
একুশে জার্নাল
এপ্রিল ০৭ ২০১৮, ০০:৪০
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গণসমাবেশ
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণসমাবেশ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৬ এপ্রিল) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘গৌরব ৭১’ ও ‘অপরাজেয় বাংলা’র যৌথ উদ্যোগে এ গণসমাবেশ ও প্রতিবাদী গানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানানো হয়।
এসময় সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘বর্তমান নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে যেন বাংলাদেশ একাত্তরে ফিরে গেছে। একাত্তরে পাকিস্তানিরা যেমন নারীদের অপমানের বস্তু হিসেবে ব্যবহার করেছিল, বর্তমানে নতুন করে সাম্প্রদায়িক শক্তি সেই কাজই শুরু করেছে।’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। অনেক সময় রাজনৈতিক কারণেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে, এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, যাতে কোনও ধর্ষক পার পেয়ে না যায়।’
গণসমাবেশে বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, ’ধর্ষণ শব্দটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনেক বড় লজ্জার। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে আমাদের।’
অপরাজেয় বাংলা’র আহ্বায়ক এইচ রেহমান মিলু বলেন, ‘হত্যা চেয়ে ধর্ষণ কোনও অংশেই ছোট অপরাধ নয়। যিনি ধর্ষিত হচ্ছেন তিনি প্রতিনিয়তই মারা যাচ্ছেন।’ ধর্ষণের বিচারের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ ও এই জঘন্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান তিনি।
এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সালমা আহমেদ বলেন, ‘ধর্ষণ শুধু একটি ব্যাধি নয়, এটি একটি অপরাধ। যারা এ কাজ করে তাদের জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’