দেশি গরুতেই এ বছর ঈদুল আজহার চাহিদা মিটবে
একুশে জার্নাল
জুলাই ২৬ ২০১৮, ১৪:৩৬

দেশি গরুতেই এ বছর ঈদুল আজহার চাহিদা মিটবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর কোরবানির জন্য দেশে মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৯ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে কোরবানির বাজারে ওঠানোর জন্য খামারে হৃষ্টপুষ্ট হওয়া গরু-মহিষের সংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ ১০ হাজার।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, গত বছর ঈদুল আজহায় দেশে ১ কোটি ৪ লাখ পশু জবাই হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৫ লাখ ২৯ হাজার ছিল গরু-মহিষ। বাকি ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ছিল ছাগল-ভেড়া। এ বছর ঈদুল আজহায় জবাই হওয়া পশুর সংখ্যা ৫ শতাংশ বাড়লেও গরু-ছাগলের অভাব হবে না বলে আশা করছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ বি এম খালেদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মোট প্রস্তুত পশুর মধ্যে ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার গরু-মহিষ, ৭১ লাখ ছাগল-ভেড়া ও প্রায় ৩২ হাজার উট-দুম্বা। গরু-মহিষের মধ্যে প্রায় ২৯ লাখ ১০ হাজার হৃষ্টপুষ্ট। বাকি ১৫ লাখ ৪৬ হাজার অনুৎপাদনশীল বা বয়স্ক। গত বছর হৃষ্টপুষ্ট গরু-মহিষের সংখ্যা ছিল ৩৩ লাখ। তিনি আরও বলেন, এ বছর ছাগল-ভেড়ার মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট ১৮ লাখ ২৬ হাজার এবং অনুৎপাদনশীল ৫২ লাখ ৭৩ হাজার।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, এ বছর ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়ার জন্য ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৯ হাজার গবাদিপশু রয়েছে।
এদিকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার জানিয়েছে, সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের সভাপতিত্বে ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি-সেবাসংক্রান্ত’ এক সভা হয়। সেখানে জানানো হয় যে এ বছর পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ছোট হাটে অন্তত ১টি, বড় হাটে ২টি করে এবং ঢাকার গাবতলী পশুর হাটে ৪টি মেডিকেল টিম থাকবে। রাজধানীর প্রতিটি টিমে ১ জন ভেটেরিনারি সার্জন, ১ জন টেকনিক্যাল কর্মী (ভিএফএ/ইউএলএ) এবং ১ জন করে শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্নি ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন। গত বছর সারা দেশের ২ হাজার ৩৬২টি পশুর হাটে মোট ১ হাজার ১৯৩টি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করে।
মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছরের মতো এ বছরও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গবাদিপশুর খামারগুলোতে স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ল্যাবরেটরি-পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাণী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোনজাতীয় ওষুধের বিক্রয় ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ, সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব দ্রব্য চোরাইপথে আসা বন্ধে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা, ময়লা বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা এবং কোরবানির আগে-পরে ঢাকা সিটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।