দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাও. নিজামপুরী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ১১ ২০১৯, ১৬:৩১

সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ও হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস মাও. আশরাফ আলী নিজামপুরী দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আজ ১১ আগস্ট (রবিবার) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় মাও. নিজামপুরী বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা হলো মুমিন মুসলমানদের জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার৷ জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম আ. এর আত্মত্যাগে মহান রব্বুল আলামীন সন্তুষ্ট হয়ে মুসলিম উম্মাহকে এই বিশেষ নিয়ামত দান করেছেন। আল্লাহ রব্বুল আলামীন যুগে যুগে বিভিন্ন নবীগণ ও তার উম্মতদের থেকে বিভিন্ন ভাবে কুরবানি নিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম কুরবানি করেছেন আদম আ. এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিল। আল্লাহ রব্বুল আলামিন হাবিলের কুরবানি কবুল করেছেন তার মনের অবস্থা দেখে। এবং পবিত্র কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন, কুরবানির জন্তুর গোসত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং তার কাছে পৌঁছে কেবল তোমাদের তাকওয়া। (সুরা হজ্জ:৩৭) তাই মনে রাখতে হবে গোসত খাওয়া আর নাম অর্জন ও লৌকিকতার উদ্দেশ্য যেন না হয়। কত কেজি গোসত পেলাম তার পিছনে না ছুটে কতটুকু আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারলাম এই দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত!

মাও. নিজামপুরী বলেন, ঈদ মানে আনন্দ! ঈদের আনন্দ প্রতিটি মুমিন মুসলমান উপভোগ করবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে শরীয়াহ বহির্ভূত কোন কাজ যেন আমাদের দ্বারা সংগঠিত না হয়। পশুর গলায় ছুড়ি চালিনোর পাশাপাশি নিজের পশুত্বের গলাতেও যেন ছুরি চালাতে পারি সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

মাও. আশরাফ আলী নিজামপুরী আরো বলেন, আজ আমরা মহা আনন্দে ঈদ উদযাপন করলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলমানরা ইহুদী খিস্টানদের বর্বর হামলার শিকার হচ্ছে। পবিত্র এই মূহুর্তেও তাদের উপর বর্ষণ হয়েচ্ছে মুহুর্মুহু বোমা আর গুলি! বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মুসলিমদের উপর চলছে অমানবিক জুলুম। ঠুনকো অজুহাত এমনি অনেক সময় বিনা অপরাধে তাদেরকে পিটিয়ে শহীদ করা হচ্ছে। গো রক্ষার নামে তারা মুসলিম নিধন শুরু করছে। ভূসর্গ খ্যাত কাশ্মীর যেন এখন মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে। অবৈধ ভাবে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মুক্তিকামী কাশ্মীরীদের একপ্রকার অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।তাই, আমাদের এই আনন্দ মুহূর্তে তাদের যেন ভুলে না যাই। অন্তত পক্ষে দুআর মাধ্যমে হলেও তাদের কথা স্মরণ করার চেষ্টা করি ।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আশেপাশে যারা অসহায় অবস্থায় দিনাপাত করে তাদের প্রতিও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে যাদের সামর্থ্য আছে তারা রোহিঙ্গা শিবির, উত্তরাঞ্চলের বন্যার্থ এলাকাগুলোতে কুরবানির ব্যবস্থা করা অথবা তাদের মাঝে গোসত বিতরণ করে তাদেরকেও পবিত্র ঈদের আনন্দে শামিল করা।

এই সময় মাও. নিজামপুরী দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে জানাই ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে সকল মুসলমানের সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করেন! এবং সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান!