দেওবন্দ মাদ্রাসায় নির্বিঘ্নে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদানের দাবীতে সোমবার মানববন্ধন
একুশে জার্নাল
মে ১৯ ২০১৮, ১৬:০২
দারুল উলূম দেওবন্দে নির্বিঘ্নে পড়ার সুযোগ প্রদানের দাবীতে আগামী ২১ মে সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আধিকার আদায়ের সংগঠন ‘কওমী ছাত্র-শিক্ষক পরিষদ’ মানববন্ধন কর্মসূচির আহবান করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পল্টনে সংগঠনের বৈঠক শেষে এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষার দুয়ার থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ভারতে সাধারণ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা যেতে পারে। কিন্তু যে দেওবন্দ মাদরাসাকে কেন্দ্র করে এবং আদর্শ মেনে এ দেশে হাজারো কওমী মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এ সকল মাদরাসা থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্র আলেম হিসেবে বেরিয়ে আসছে। জ্ঞান ও আধ্যাত্মিতকার এমন একটি কেন্দ্রে জ্ঞানপিপাসুরা উচ্চতর শিক্ষার জন্য যেতে না পারাটা দুর্ভাগ্যজনক।
নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ এবং ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদাত্ত আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ এই যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবীর সমর্থনে দেশের কওমী ছাত্র-শিক্ষকদের সজাগ দৃষ্টি দিতে আহবান জানান।
কওমী ছাত্র শিক্ষ পরিষদের মুখপাত্র মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী’র সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থীদেরই উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা থাকে, কিন্তু যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন সুযোগ সুবিধা না থাকে তাহলে উচ্চশিক্ষা অর্জন প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে আমাদের দেশের হাজারো কওমী মাদরাসা থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করে থাকে। কিন্তু তাঁরা উচ্চতর শিক্ষার জন্য ভারতেরদারুল উলূম দেওবন্দে যেতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি সুযোগ সুবিধা থাকে তাহলে এদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা অর্জন করা সম্ভব। বিভিন্ন দেশের ন্যায় যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্টুডেন্ট ভিসা চালু করা হয় তাহলে কওমী পড়ুয়া ছাত্রদের জন্য উচ্চশিক্ষা অর্জনে ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দে গমন করতে পারবে।
তিনি এ দাবী পূরণে আগামী ২১ মে সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচী সফলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সংগঠনের সমন্বয়ক মাওলানা মামুনুল হক এর সভাপতিত্বে ও মুখপাত্র মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজীর সঞ্চালনায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়ক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও মাওলানা হাসান জামিল, সদস্য মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মুফতী এনায়েতুল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মাওলানা এহসানুল হক ও মুফতী আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ।