নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্লাবন সরকার নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে স্ত্রী সোমা ও পরিবারের সকলের কাছে মাফ চেয়ে একটি পোস্ট করেন।
পুলিশ বলছে চলতি মাসের ৩ তারিখে প্লাবন সরকার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তখন তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
আজ বুধবার (২৪ জুন) ভোরে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পৌর শহরের উত্তর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। উত্তর পাড়া গ্রামের অজিত সরকারের ছেলে প্লাবন।
ফেসবুকে দেয়া পুরো স্ট্যাটাসটি হুবহু দেয়া হলো- “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। সোমা তোমাকে আমি কিছু দিতে পারলাম না। আমার কষ্টটা কাউকে বলার মত না, তাই বলতে পাড়লাম না। আমাকে মাফ করে দিও পারলে।”
পরিবার ও বন্ধুরা জানায়, প্লাবন সরকার স্থানীয় ধান মহলে ধানের আড়তের ব্যবসা করতেন। প্রতি দিনের মতো দোকান বন্ধ করে বুধবার রাতেও বাড়ি ফেরেন প্লাবন। ভোরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ির পাশে গাছের সাথে নিজের কোমরের বেল্ট গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন প্লাবন। এদিকে তার এই মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবারসহ বন্ধুরা।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান নিশ্চিত করে বলেন, হ্যাঁ আজ সকালে প্লাবন সরকার নামে একজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্লাবন সরকার এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। সে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। তখন তাকে ময়নসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চলতি মাসের ৩ তারিখে এ ঘটনা ঘটে। আজ দ্বিতীয়বারের মতো চেষ্টায় সে আত্মহত্যা করে। এর কারণ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হিসেবে আমরা ধারণা করেছি।’
মীর মাহবুবুর রহমান জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।