দুরাচার – বনশ্রী বড়ুয়া
একুশে জার্নাল ডটকম
সেপ্টেম্বর ০৫ ২০১৯, ২১:৪২
তোমার লজ্জা কোথায়?
বস্ত্রে?
ফ্যাশন ট্রেন্ডে বুঝি?
অহেতুক, সভ্য সমাজ তোমাদের নির্লজ্জ,
বেহায়া, পশু নামে ডাকে কেন?
শার্ট-প্যান্ট, পাজামা-পাঞ্জাবি, স্যান্ডোর আড়ালে বুজি লুকোনো আছে লজ্জা?
নাকি লজ্জা লুকোনো হোটেল-মোটেলের দামী শয্যায়?
নাকি আলোর নিচেই লজ্জা?
লজ্জাবস্ত্রে লজ্জা ঢাকো!
অথচ,নির্লজ্জের মত বিবস্ত্র করো লজ্জাবতী’র বস্ত্র!
টেনে হিঁচড়ে খুলে নাও ফুলেল পাপড়ি!
নষ্ট বীর্যে ছড়িয়ে দাও বিষ!
ধ্বংস করো আদি-অন্তের দ্বার…
নারীর,শাড়ির ভাঁজে লজ্জা নয়, খুঁজো মাংস?
মাংসের পাতে ঢেলে দাও রক্ত!
রক্তে বিসর্জিত হয় প্রাণ!
ছি!এই বুঝি তোমার ফ্যাশন ট্রেন্ড?
তবে রাস্ট্রের মুখে ঝুলিয়ে দাও বিকিনী!
তোমার সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দাও
তোমার উলঙ্গ মনের পাপ…
নতুবা মানচিত্রে এঁকে দাও স্তন,থাই অথবা উরু!
ছি!ধিক তোমায়…
লজ্জা নয় নির্লজ্জ পশুই হোক তোমার পরিচয়,
তনু-পুজার ভ্রাতা কিংবা পিতা নয়,
পরিচয়ে তুমি কামুক,ধর্ষক কিংবা লোলুপ হায়েনা!
পশুত্বে ঢাকো লজ্জা!
তোমার জন্মে লজ্জিত আমার নারী শরীর,
তোমার জন্মে লজ্জিত আমার ভ্রুন,
তোমার জন্মে লজ্জিত আমার জরায়ু,
তোমার জন্মে লজ্জিত আমার মাতৃত্ব……
শুধু লজ্জাহীন সজ্জায় আসীন তুমি,
লজ্জাবস্ত্রে শরীর ঢেকেও নির্লজ্জ তুমি…..
মুখোশের আড়ালে মুখোশ পড়ে ছড়ালে
তোমার ইঞ্চি ইঞ্চি পাপ!!